Tuesday, February 11, 2025
বাড়িরাজ্যঘুষের জন্য লরি চালককে পেটালো পুলিশ, অভিযোগ উঠেছে তেলিয়ামুড়া থানার এক মাতাল...

ঘুষের জন্য লরি চালককে পেটালো পুলিশ, অভিযোগ উঠেছে তেলিয়ামুড়া থানার এক মাতাল পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে

স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১৪ জানুয়ারি : ঘোষের বাণিজ্যে ভাসছে তেলিয়ামুড়া থানা। তাই আবারও খবরের শীর্ষস্থান দখল করলো তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ বাবুরা। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে তেলিয়ামুড়া চাকমাঘাট ব্যারেজ প্রাঙ্গণে দুদিন ব্যাপী মেলার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন ব্যাবস্থা অবলম্বন করা হয়েছিল। সেই সুবাদে পূর্ণার্থীরা যাতে স্বাভাবিকভাবে জাতীয় সড়কে চলাফেরা করতে পারে সেইজন্য মেলার দুই প্রান্তে বসানো হয়েছিল পুলিশের ব্যাবস্থাপনায় নো-অ্যান্টি।

আর তার ফলে রাস্তার দুই প্রান্তে দূর দুরান্ত থেকে আসা দূরপাল্লার লরি সহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ে যায়। সেই সময় নো-অ্যান্ট্রিতে আটকে পড়া টি আর ০১ এ ০১৬৪৭ নম্বরের গাড়িতে থাকা চালক শেখর বণিকের সাথে তেলিয়ামুড়া থানার এস.আই রামকৃষ্ণ দাস বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, এস.আই রামকৃষ্ণ দাস গাড়ির দরজার মধ্যে আঘাত করে, চালকের কাছে ২০০ টাকার ঘুষ দেওয়ার দাবি করেন। চালক শেখর বনিক ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় পেটে প্রচন্ডভাবে লাথি মারে আহত করে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী। দমকল কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে চালক শেখর বণিককে উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চালক শেখর বণিক’কে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে যতদূর জানা যায় থানার মধ্যে এখন ঘুষের বাণিজ্য রম রমা হয়ে উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে চাকমাঘাট এলাকায় দাঁড়িয়ে যখন পকেটে ছিটেফোঁটা প্রসাদ ঢুকেনি তখনই উর্মাদ হয়ে যায় সেখানকার ছোট বাবু ও তার নেতৃত্বে থাকা অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা।

যার কারণে এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বলে মনে করছে অনেকে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগণ সহ পুন্যার্থীরা পুলিশের এই কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে পথ অবরোধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে । যদিও পৌষ সংক্রান্তি মেলা যাতে বিঘ্ন না হয় তার জন্য এমন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উল্লেখ্য, বিগত কিছু মাস পূর্বে এস.আই রামকৃষ্ণ দাস’কে থানা চত্বরে মদমত্ত অবস্থায় কালী পূজার সময় উশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি করার ফলে তেলিয়ামুড়া থানার তৎকালীন ওসি সুব্রত চক্রবর্তী জুতো পেটা করে ত্রিপুরা পুলিশ অ্যাক্ট ৯০ ধারায় আটক করেছিল এবং দপ্তরের তদন্ত শেষে সাসপেনশন করা হয়েছিল। এরপর খোয়াই তেও এক এস.পি.ও জওয়ান’কে জুতো পেটা করে সাসপেন্ড হয়েছিল। রামকৃষ্ণ দাস যে কিনা পুলিশ মহলে মাতাল পুলিশ হিসেবে পরিচিত তার এ ধরনের কর্মকান্ডে কালিমালিপ্ত হচ্ছে গোটা স্বরাষ্ট্র দপ্তর সহ পুলিশ প্রশাসন। এখন দেখার বিষয় এস.আই রামকৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্র দপ্তর। নাকি এভাবেই একজন পুলিশ অফিসার এবং তার নেতৃত্বে থাকা কয়েকজন পুলিশ কর্মীর কারণে গোটা পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্ক করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য