Friday, January 17, 2025
বাড়িরাজ্যরাজ্য জুড়ে ই.ডি-র হানা

রাজ্য জুড়ে ই.ডি-র হানা

স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ১০ জানুয়ারি : নেশা বাণিজ্য ও মানব পাচারের করিডোরে পরিণত হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য। ত্রিপুরা রাজ্যকে ব্যবহার করে নেশা সামগ্রী পাচারকারিরা বাংলাদেশে নেশা সামগ্রী পাচার করে। বহিঃরাজ্যে পাচার করা হয়ে থাকে গাঁজা। বর্তমানে বাংলাদেশী নাগরিকদের অবৈধভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের সিমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করিয়ে বহিঃরাজ্যে পাচার করছে মানব পাচারকারিরা। গোপনে তৈরি করা হচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিকদের জাল পরিচয় পত্র। যা ত্রিপুরা রাজ্য সহ সমগ্র দেশের জন্য আতঙ্কের বিষয়। কারন এই মানব পাচারকারিদের হাত ধরে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা রাজ্যে অনুপ্রবেশ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারবে।

এবং যে কোন সময় দেশের অভ্যন্তরে তারা অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশ কুম্ভ নিদ্রায় আচ্ছন্ন থাকলেও সজাগ রয়েছে ই.ডি। শুক্রবার ই.ডি-র আধিকারিকরা এক যোগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হানা দেয়। জানা যায় বক্সনগর উত্তর কলমচৌড়া এলাকার বাসিন্দা অপু রঞ্জন দাসের বাড়িতে শুক্রবার সকাল ৬ টায় হানা দেয় ই.ডি। ই.ডি আধিকারিকদের তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয় প্রচুর সম্পত্তির নথি পত্র, নগদ অর্থ সহ প্রচুর স্বর্ণালংকার। ই.ডি-র হানার আগাম খবর পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় অপু রঞ্জন দাস। শাসক দলের ছত্র ছায়ার নিচে থাকা এই অপু রঞ্জন দাস নেশা বাণিজ্যের সাথে যুক্ত বলে খবর। যতটুকু খবর ই.ডি-র আধিকারিকদের কোন ধরনের তথ্য দিতে পারে নি অপু রঞ্জন দাসের পরিবারের লোকজন। অপরদিকে বিশালগড়ের আমবাগান এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি তাপস দেবনাথের বাড়িতেও হানা দেয় ই.ডি-র আধিকারিকরা। তাপস দেবনাথও শাসক দলের কর্মী হিসাবে পরিচিত। অপরদিকে রাজ্য পুলিশের এ.এস.আই ধ্রুব মজুমদারের বাড়িতেও হানা দেয় ই.ডি আধিকারিকরা।

ধ্রুব মজুমদারের শ্বশুর বাড়িতেও হানা দেয় ই.ডি। ধ্রুব মজুমদারের শ্বশুর অমল বৈদ্য প্রাক্তন পুলিশ কর্মী। উদয়পুরের পুলিশ লাইন এলাকায় অমল বৈদ্য-র বাড়িতে তল্লাসি চালায় ই.ডি-র আধিকারিকরা। এছাড়াও এইদিন ই.ডি-র আধিকারিকরা দেবব্রত দে, বিশু ত্রিপুরা, কামিনী দেববর্মা ও লিটন সাহার বাড়ি সহ আরও একাধিক স্থানে এইদিন ই.ডি-র আধিকারিকরা হানা দেয়। ই.ডি-র আধিকারিকদের সাথে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল সিআরপিএফ। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে চলে ইডি-র তল্লাসি অভিযান। তবে এইদিনের অভিযানের বিষয়ে ই.ডি-র আধিকারিকরা মুখ খুলেন নি।  এদিন অভিযানে ছিল আড়াই শতাধিক সি আর পি এফ। রাজ্য পুলিশকে এদিন অভিযানে রাখা হয় নি। আরো জানা গেছে, ইডি -র তালিকায় রয়েছেন একাধিক প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের নাম। জালে উঠতে পারে অনেক প্রভাবশালী। ইতিমধ্যে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। শুরু হবে ধরপাকড় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য