স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ৭ জানুয়ারি : প্রকাশ্যে দিনের বেলা বিএসএফ ও বাংলাদেশের নাগরিকের মধ্যে হা*তাহাতি। বিএসএফের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা এবং ধারালো দা দিয়ে বিএসএফের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে তারা। ঘটনা কৈলাশহর মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকার আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৪৭ নং পিলারের কাছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত – বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশের নাগরিক তথা বাংলাদেশের চোরা পাচারকারীরা ভারতের সীমান্ত থেকে বিড়ি নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
সেই সময় টহলরত দুইজন বি.এস.এফ জওয়ান বিড়ি পাচারে বাঁধা দিলেও বাংলাদেশের পাচারকারীরা বি.এস.এফের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে বিড়ি পাচার অব্যাহত রাখে।
একটা সময় বাংলাদেশের পাচারকারীরা দুই বি.এস.এফ জওয়ানকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং দুই বি.এস.এফ জওয়ান বাংলাদেশের পাচারকারীদের ধরার জন্য দৌড়াতে বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে পড়ে। পরবর্তী সময় দুই বি.এস.এফ জওয়ান ভারতের অংশে আসতে শুরু করলে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় বাংলাদেশের বি.ডি.আর তথা সীমান্ত রক্ষীরা। বি.ডি.আর দুই বি.এস.এফ জওয়ানদের সাথে আলোচনার সময় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট গ্রামের মানুষেরা উত্তেজিত হয়ে দুই বি.এস.এফ জওয়ানের উপর আক্রমণ করতে শুরু করে। এমনকি বি.এস.এফ জওয়ানের কাছ থেকে জোর করে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। যদিও বাংলাদেশের এক বি.ডি.আর জওয়ান দুই বি.এস.এফ জওয়ানকে বাঁচাতে চেস্টা করে।
একটা সময় বাংলাদেশের নাগরিকরা বি.এস.এফ জওয়ানের উপর ধারালো দা দিয়ে কুপাতে আসে এবং দুই বি.এস.এফ জওয়ানদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি বি.এস.এফ জওয়ানদের ধর্মীয় কথা বলেও কটাক্ষ করতে শুরু যায়। তাছাড়া বাংলাদেশের নাগরিকরা বি.এস.এফের উপর মিথ্যা অভিযোগ করে, বি.এস.এফ জওয়ানরা বাংলাদেশে গুলি করেছে এবং বাংলাদেশের মহিলাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে বলেও মিথ্যা অভিযোগ তোলে বাংলাদেশের নাগরিকরা বি.এস.এফের উপর আক্রমনের চেষ্টা করে। এই অবস্থা চলাকালীন ধীরে ধীরে বি.এস.এফ জওয়ানের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বি.এস.এফ জওয়ানদের সংখ্যা বাড়তে দেখে বাংলাদেশের নাগরিকরা বাধ্য হয়ে পিছু হটতে শুরু করে। এই ঘটনায় মাগুরুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।