স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ ডিসেম্বর : আবারো চুরি শতবর্ষ প্রাচীন সাব্রুমের মাতা দৈত্যেশ্বরী কালী মন্দিরে। ঘটনা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। পুলিশ মামলা হাতে নিয়ে সিভিল পোশাকে দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অপর এক চোর। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার সকালে পুরোহিত মন্দিরে গিয়ে দেখতে পান কালীমন্দিরের দরজা ভাঙ্গা। সাথে সাথেই খবর দেওয়া হয় সাব্রুম থানায়। সাব্রুম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
দরজা খুলতেই দেখা যায় মাতা দৈত্যেশ্বরী মায়ের স্বর্ণালংকার গুলি নেই। মন্দির পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয় আনুমানিক ২৫ ভরির বেশি স্বর্ণালংকার এবং বেশকিছু রুপোর গহনা ও নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে সাব্রুম মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানান, চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিসি ক্যামেরা দেখে তিনজনকে প্রথমে শনাক্ত করা হয়েছিল। তারপর পুলিশ পৃথক টিম তৈরি করে সিভিল পোশাকে চোরের সন্ধানে মাঠে নামে। তারপর একটি জায়গায় গিয়ে তিনজন চোরকে ঘেরাও করে। তাদের মধ্যে দুজন চোরকে আটক করতে সক্ষম হলেও ওপরে চোর ঘটনাস্থল থেকে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। ধৃত দুজনের নাম সজল নম:, বাড়ি সাব্রুম নমঃ পাড়া এবং চেন্টু ত্রিপুরা, বাড়ি ঘোড়াকাপ্পা। পিছু ধাওয়া করলো পুলিশ পালিয়ে যাওয়া চোরকে হাতেনাতে ধরতে পারেনি।
ধৃত দুই চোরের কাছ থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার এবং নগদ অর্থ উদ্ধার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো কিছু স্বর্ণালংকার সাব্রুম উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সংলগ্ন একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকে হয়েছে মোট ৭,৮৪০ টাকা এবং সাত ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিগুলি দ্রুত উদ্ধার করা হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এর আগেও বহুবার সাব্রুমের দৈত্যেশ্বরী মন্দিরের স্বর্ণালংকার গুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছিল। সব্রুমের জনগণের দাবি ছিল এই স্বর্ণালংকার গুলি মন্দিরে একটি ট্রাস্ট গঠন করে সাব্রুমের মহকুমা শাসকের হেফাজতে অথবা ব্যাংকের লকারে রাখার জন্য। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে মন্দির পরিচালন কমিটি এই স্বর্ণালংকার গুলি কোনরকম নিরাপত্তা ছাড়া মায়ের মন্দিরে রেখে দিয়েছিল। শতবর্ষ প্রাচীন এই মন্দিরের স্বর্ণালংকার সহ চুরির ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা হাতে নিয়েছে এবং সিসি ক্যামেরায় তিনজন কুখ্যাত চোরকে সনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ তবে তাদের এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি।