স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ ডিসেম্বর : রাজ্যের বর্তমান সরকার বরাবর দাবি করে পর্যটন শিল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। পাশাপাশি শীতকালে পর্যটন দারুণভাবে সাধারণ মানুষকে যে আকৃষ্ট করে এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তবে কিছু কিছু জায়গায় পর্যটন ক্ষেত্র সমূহের জরাজীর্ণ অবস্থা বা সরকারের সঠিক ব্যাবস্থার অভাবে ধুকতে থাকা বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্র গুলো পর্যটন সম্পর্কিত সরকারের ভাবনার দিকে আঙ্গুল তুলে। এরকমই এক ছবি তেলিয়ামুড়া মহকুমার হাতাই কতর অর্থাৎ বড়মুড়ার ইকো পার্কের। গোটা রাজ্যের পর্যটকদের আকৃষ্ট করার যথেষ্ট রসদ বা ভৌগোলিক পরিমণ্ডল থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে রীতিমতো জরাজীর্ণ অবস্থায় এই পর্যটন কেন্দ্র।
বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত পর্যটক বা প্রকৃতি প্রেমীদের বক্তব্য হচ্ছে, গোটা পার্কের ভেতরেই কঙ্কালসার চেহারা, পার্কের ভেতরে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী সরকারি কোষাগারের কোটি টাকা ব্যয় করে বসানো হলেও শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় দেখাশুনার অভাবে বর্তমানে অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। সরকারের বিভিন্ন স্তরের দাবি অনুযায়ী সাধারণ মানুষরা হাতাই কতর ইকো পার্কে গিয়ে পর্যটন ক্ষেত্রের এই দৈন্যদশা দেখে যে রীতিমতো হতাশ।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে পার্কের লক গার্ডের দায়িত্বে থাকা জে.এফ.এম.সি কমিটির জনৈক সদস্যের কাছ থেকে জানা গেছে, শুধুমাত্র হর্ন বিল উৎসবের সময় পার্কের ভেতর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হলেও বাকি সময় কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয় না। পাশাপাশি তিনি এটাও দাবি করেছেন বর্তমানে হয়তোবা পার্কের জরাজীর্ণ অবস্থার কারণেই অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বলা যায় এই ইকোপার্ক এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে যা সরাসরি সরকারের পর্যটন সম্পর্কিত মানসিকতার দিকে বলিষ্ঠভাবে প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে। একটা মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটনকে বিকশিত করার জন্য সরকারি কোষাগারের কোটি টাকা খরচ করে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ করতে পারে, সঙ্গীত আয়োজনের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে পারে, অথচ পর্যটন ক্ষেত্র গুলোর প্রকৃত পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করতে পারে না কেন?