স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রোজগার মেলায় ৭১ হাজার চাকুরী প্রার্থীর মধ্যে নিয়োগপত্র তুলে দেন। দেশের ৪৫ টি স্থানে একযোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ত্রিপুরায়, রোজগার মেলার আয়োজন করা হয় আগরতলায় শালবাগানস্থিত বিএসএফ – এর ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের প্রধান কার্যালয়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালভাবে রিমোট বোতাম টিপে নিয়োগপত্র বিতরন কর্মসূচীর সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং।
এবারের এই রোজগার মেলার মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, দপ্তর ও সংস্থার জন্য পূর্বে গৃহীত চাকরির পরীক্ষায় রাজ্য থেকে উত্তীর্ন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নিযুক্তি দেওয়া হয়। এবার রাজ্য থেকে নিযুক্তির জন্য উত্তীর্ণ হন ৫৩৪ জন । তাঁদের মধ্যে ৩১১ জন আজকের ত্রহ্গার মেলায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দেন বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের প্রধান আই জি অশ্বিনী কুমার শর্মা, সিআর পি এফ – এর আই জি দর্শন লাল গোলা, আসাম রাইফেলস- এর কমান্ডেন্ট গোপ কুমার। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারীকরাও উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন নতুন নিয়োগ প্রাপ্তদের অভিভাবক ও আত্মীয় পরিজনরাও।
অনুষ্ঠানে বিএসএফ আই জি এ কে শর্মা বলেন, দিল্লি থেকে মূল কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আজ রোজগার মেলার মাধ্যমে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের হাতে নিয়োগ পত্র বন্টন করেন । এরই অঙ্গ হিসেবে, আগরতলার শালবাগান রাজ্য ভিত্তিক এই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই ধরনের রোজগার মেলা তরুনদের স্বপ্ন পুরনে এক বড় পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, এই নিয়োগপত্র বন্টন শুধু সরকারী দপ্তরে চাকরি বিলির প্রতীক শুধু নয়, ভারতের ভবিষ্যৎ শক্তির প্রতীকও বটে। এই নিয়োগপ্রাপ্ত গন এরই প্রতিনিধিত্ব করছেন। আই জি শ্রী শর্মা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলে থাকেন, দেশের যুব সমাজ দেশ গঠনে ভুমিকা নিক ও নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক। আত্মনির্ভর ভারত গঠনের স্বপ্ন পুরনে যুবকদের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ যেখানে সরকার গুনমান সম্পন্ন ও স্থায়ী রোজগারের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রোজগার মেলায় নিয়োগপত্র বন্টন শুধু তরুনদের রোজগার সুনিশ্চিত করবে তাই নয় বরং দেশের প্রগতি ও দেশ সেবার পথ প্রশস্ত করবে। তিনি বলেন, সরকার কৌশল বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল পরিসেবা প্রশিক্ষণের ব্যপারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যাতে তরুন সমাজ আত্মনির্ভরশীল হতে পারে ও দেশের আর্থিক বিকাশে নিজেরা যোগদান করতে পারে।
তিনি বলেন, আজ দেশে রোজগারের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে এবং আমাদের তরুন সমাজ যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছেন। তরুন প্রজন্ম দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন বলে তিনি দৃঢ় অভিমত প্রকাশ করেন।
আজ নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে নতুন নিযুক্তিপ্রাপ্তদের প্রত্যেকেই দারুণ সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। বিএসএফ, সিআরপিএফ, আই টি বি পি, সিআইএসএফ, এস এস বি আসাম রাইফেলস, প্রভৃতি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও ভারতীয় ডাক বিভাগ ও ব্যাংকিং ক্ষেত্রের জন্য এইসব নিয়োগপত্র বন্টন করা হয়।