স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ ডিসেম্বর : পারিপার্শ্বিক এক মহিলা তথা প্রাক্তন প্রধানকে মারধর করে গুরুতর আহত করল সিআইএসএফ-এ কর্মরত এক যুবক। ঘটনা বিশালগড় লালসিংমুড়া ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায়। আক্রান্ত মহিলা শাসক দল বিজেপি -র লালসিংমুড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সোমা দেবনাথ। অভিযুক্ত যুবকের নাম সঞ্জয় দেবনাথ। মামলার চারদিন অতিক্রান্ত হয়েছে বিশালগড় থানার পুলিশ অভিযুক্ত সিআইএসএফ-কে গ্রেফতার না করে সুশাসনকে কুশাসন বানাতে উঠে পড়ে লেগেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক বিবাদ ঘিরে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী সি আই এস এফ -এ কর্মরত জওয়ান সঞ্জয় দেবনাথ এই ঘটনা সংগঠিত করেছে। মহিলার একটি চোখ ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছে এবং নাকে পর্যন্ত প্রচন্ড জোরে আঘাত করেছে। শুধু তাই নয় মহিলার বুকে ও পায়ে গুরুতর আঘাত করেছে অভিযুক্ত জওয়ান।
সোমবার সন্ধ্যায় বিশালগড় থানায় দারস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার ডঃ মানিক সাহার কাছে অভিযুক্ত জোওয়ানের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা করার আবেদন জানান। তিনি জানান ঘটনার পর সাথে সাথে বিশালগড় থানায় এসে মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু চারদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। আরো বলেন, অভিযুক্ত আক্রান্ত করার পর তিনি যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন ব্লক চেয়ারম্যানের সাথে থানায় এসে পুলিশকে জানিয়েছে বিষয়টি নাকি মীমাংসা হয়ে গেছে। তারপর সোমা দেবনাথ পুলিশকে বিস্তারিত জানানোর পরেও পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে না। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মহিলার আরো অভিযোগ, ভারতীয় জনতা পার্টি করেছেন এদিন দেখার জন্য নয়।
দলের হাই কমান্ডের কাছে করজুড়ে প্রান ভিক্ষা চেয়েছেন। অভিযুক্তরা তাকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করছে বলে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বলেন। এ ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কোথায় সুশাসন? যেখানে শাসক দলের মহিলা নেতৃত্বে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে সেখানে কিভাবে শান্তিপূর্ণ রাজ্য বলে দাবি করেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। এবং শুধু তাই নয়, শাসক দলের নেতৃত্বের যোগসাজশে এমন ভয়াবহ ঘটনা সুশাসনে নজিরবিহীন বলা যায়। পুলিশ যদি রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?