স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ ডিসেম্বর : ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস। দিনটি যথাযথ মর্যাদার সাথে প্রতিবছর উদযাপন করা হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অন্যান্য বছরের মতো এবছর দিনটি উদযাপন হয়নি আগরতলা স্থিত বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশন অফিসে। সোমবার সকালে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিজয় দিবস উদযাপন হল বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন অফিসে। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়। তারপর অন্যান্য বছরের মতো এবছর কোন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়নি। বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে এদিন যারা উপস্থিত ছিলেন তারা জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
তারপর এই মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা থেকে যারা এখন কাজ করে চলেছে তাদের শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। একই সাথে ভারতবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান তারা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, একবারের জন্যও উচ্চারণ হলো না বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নায়কদের নাম। বিগত দিনগুলিতে এই ধরনের অনুষ্ঠানে প্রথমে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরকে শ্রদ্ধা জানানো হতো। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর নামে বিভিন্ন কর্মসূচিও গ্রহণ করা হতো। এ বছর এইগুলি কিছুই দেখা গেল না বাংলাদেশ সহকারে হাইকমিশন অফিসে। সূত্রের খবর বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশ মোতাবেক বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে আগরতলা স্থিত বাংলাদেশ সরকারি হাইকমিশন অফিসে। বিজয় দিবসে এদিন অস্বীকার হয়েছে বহু ইতিহাস।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে গত আগস্ট মাসে তোলপাড় হয় বাংলাদেশে। পতন ঘটে হাসনা সরকারের। ৮ আগস্ট দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন এবং সংখ্যালঘু আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ধর্মীয় নেতৃত্বদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার সহ বিভিন্ন রকম কার্যকলাপ সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অনভিপ্রেত ঘটনায় অশান্ত বাংলাদেশ। শুধু সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়নি, সেখানে আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক থেকে শুরু করে শহীদদের মর্মর মূর্তি। ভেঙে ফেলা হয়েছে সেখানে ইতিহাস। তারপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর নতুন করে ইতিহাস গড়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এমনটাই অভিমত অভিজ্ঞ মহলের।