স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ ডিসেম্বর : অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরন ও নিয়মিতকরনের সাপেক্ষে সমকাজে সমবেতনের দাবিতে রবিবার আইএমএ হাউজে রাজ্যভিত্তিক এক কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। ত্রিপুরা অনিয়মিত কর্মচারী মঞ্চের পক্ষ থেকে এই কনভেনশন হয়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কনভেনার তথা বরিষ্ঠ আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন সহ অন্যান্যরা। আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন সংবাদ মাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে বলেন, গত সাত বছরে রাজ্যের একজন অনিয়মিত কর্মচারীকেও নিয়মিত করা হয়নি।
এই অনিয়মিত কর্মচারীরা চোখের জল ফেলে শূন্য হাতে অবসরে যাচ্ছেন। তাই কর্মচারীদের বঞ্চনা নিরসনের জন্য আজ এই কনভেনশন থেকে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ গত সাত বছর অপেক্ষা করা হয়েছে। গত ২০১৮ সালে ৩০ শে জুলাই যে সার্কুলার বাতিল করেছে, ধরে নেওয়া হয়েছিল সরকারের সুবুদ্ধির উদয় হবে। তারপর পুনরায় সার্কুলার জারি করা হবে। কিন্তু সাত বছরের সরকার সেই সার্কুলার জারি করল না। ধৈর্য ধরে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে সরকারকে। আর এই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে বলে আজ এখানে অনিয়মিত কর্মচারীরা দলে দলে সমবেত হয়েছেন। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২০০৭ সালে পূর্বর্তন সরকার একটি স্কিম করেছিল। সে অনুযায়ী ১০ বছর অনিয়মিত কর্মচারী হিসেবে কাজ করলে নিয়মিত করা হতো। নাহলে সরকারের উদ্দেশ্যে দাবিও করা যেত, প্রয়োজনে আদালতে মামলাও করা যেত। কিন্তু বর্তমান সরকার ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সেই সুযোগ বন্ধ করে দিয়ে অনিয়মিত কর্মচারীদের পায়ের নিচের মাটি কেড়ে নিতে এবং অনিয়মিত কর্মচারীদের আদালতে যাওয়ার রাস্তাটা বন্ধ করে দিতে ২০১২ সালের সার্কুলার জারি করেছে।
ফলে এখন মামলা করা যায় না। আরো জানিয়েছেন, আজকের কনভেনশন থেকে একটাই দাবি আগামী দিন সমস্ত অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরন করতে হবে এবং সম কাজে, সমবেতন দিতে হবে। কারণ রাজ্যের বহু অনিয়মিত শ্রমিক রয়েছে যারা কম বেতনে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, আজকের এই কনভেনশন থেকে সরকারের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যদি অবিলম্বে সরকার নিয়মিতকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে তাহলে আগামী ৪ জানুয়ারি রাজ্যের সমস্ত অনিয়মিত স্তরের ৩০ হাজার কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধভাবে ঐতিহাসিক ধর্ণা শুরু করবে। আয়োজিত কনভেনশনে অনিয়মিত কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়। তারা কনভেনশন থেকে সিদ্ধান্ত নেয় এখন তারা সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে প্রস্তুতি নেবে।