স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ ডিসেম্বর : বাংলাদেশের ইসকনের প্রবক্তা চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবিতে এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে হিন্দু ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে কৈলাসহরে এক ঐতিহাসিক বিক্ষোভ মিছিল এবং জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন আইনজীবী সন্দীপ দেবরায়, গৌতম দাস, দীপক ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। বিক্ষোভ মিছিলটি শ্রীরামপুর এলাকার ট্রাই জংশন থেকে শুরু করে কৈলাসহর শহরের গোবিন্দপুর, সেন্টাল রোড, হাসপাতাল রোড, পি.ডাব্লিউ.ডি রোড, নেতাজী কর্নার, গার্লস স্কুল রোড, শনিতলা রোড সহ অন্যান্য রাজপথ পরিক্রমা করে ভারত- বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশে অবস্থিত আর.কে.আই স্কুল মাঠের জনসভায় মিলিত হয়।
জনসভা শুরুর পূর্বে বিক্ষোভকারীরা কৈলাসহরের মনু ল্যান্ড কাস্টমসের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে গিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীদের বিক্ষোভ দেখায়। প্রায় আধ ঘন্টা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জনসভা শুরু হয়। তবে, সীমান্তে বাড়তি বি.এস.এফের পাশাপাশি সি.আর.পি.এফ, পুলিশ এবং টি.এস.আর বাহিনী মজুত ছিলো। জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইনজীবী সন্দীপ দেবরায় বলেন, বাংলাদেশের ইউনুস সরকার সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে ইসকনের প্রবক্তা চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করেছে। যতক্ষন অব্দি বাংলাদেশ সরকার ইউনুসকে নিঃশর্তে মুক্তি দেবে না ততোদিন পর্যন্ত হিন্দু ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানান। তাছাড়া, গোটা বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর বিনাকারণে অত্যাচার চালানো হচ্ছে সেটা কোনো ভাবেই মানা যায় না। এর বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বে আন্দোলন চলছে। বাংলাদেশ সরকার ভুলে গেছে যে, ১৯৭১ সালে ভারত সরকার যদি এগিয়ে গিয়ে সাহায্য না করতো তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। এরা নিজেদেরকে মির্জাফর পরিচয় দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন সন্দীপ বাবু।