স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ ডিসেম্বর : মানুষ হলো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। কিন্তু একে ধ্বংস করার জন্য কিছু বিবেদগামী শক্তি সচেষ্টা রয়েছে। তাই নজর রাখতে হবে কোনভাবে যাতে ঐক্যতা নষ্ট না হয়। এবং সকলে যদি একসাথে থাকে এবং কাউকে হেও প্রতিপন্ন না করা হয় তাহলে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ফলপ্রসূ হবে। মঙ্গলবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে এই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা হিউম্যান রাইট কমিশনের চেয়ারপার্সন এস সি দাস, মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্না দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।
মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে আরো বলেন, ১৯৪৮ সালে দশ ডিসেম্বর রাষ্ট্র সংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ঘোষণা করেছেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতবর্ষে ১৯৫০ সালে মানবাধিকার দিবস শুরু হয়েছে। তারপর থেকে এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষ যাতে তার মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত হতে পারে। ১৯৯৩ সালে এ আইন লাগু হলেও পূর্বতন সরকার ত্রিপুরাতে লাগু করেনি। পরে সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে যখন মামলা হয় তখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালে ত্রিপুরা রাজ্যে কমিশন শুরু হয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ১ জুলাই ফৌজদারী আইনের সংশোধন করেছেন। উদ্দেশ্য হল যাতে মানবাধিকার কমিশন আরো বেশি শক্তিশালী হয় এবং আইন দ্বারা মানুষের অধিকার আরো বেশি শক্তিশালী হয়। এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।