স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ ডিসেম্বর : আগরতলা পুর নিগমের অন্তর্গত বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কারের কাজে দুর্নীতি করে উন্নয়নের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে ঠিকাদার থেকে শুরু করে কিছু জনপ্রতিনিধি। এমনটাই অভিযোগ ২৩ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দাদের। জনগণ বলছে এগুলিকে উন্নয়ন বলে না। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা এবং আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার নিজে কাজগুলি যাচাই করুক।
শুক্রবার আগরতলা পুর নিগমের ২৩ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ধলেশ্বর ৩ নং রোডের রাস্তা নিয়ে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। এলাকার এক যুবক জানায়, বৃহস্পতিবার রাস্তাটির মধ্যে ঢালাই দিয়ে গেছে শ্রমিকরা। এতটাই নিম্নমানের পিচ ঢালাই হয়েছে যে গাড়ির চাকার সাথে এবং মানুষের পায়ের জুতোর সাথে পিচ উঠে যাচ্ছে। এর দ্বারা স্পষ্ট কতটা নিম্নমানের কাজ হয়েছে এলাকায়। বিগত দিনে এত নিম্নমানের কাজ এলাকায় হয়নি। এলাকার কাউন্সিলরের নাম মনিমুক্তা ভট্টাচার্য। তিনি এই রাস্তা দিয়েই তা যাতায়াত করেন। কিন্তু এ রাস্তার অবস্থা এতটাই করুন হয়েছে যে মানুষ চলাচলের অযোগ্য। এই কাজটি অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হোক। কারণ জনগণের করের টাকা দিয়ে রাস্তা সংস্কার হচ্ছে। কিন্তু এই রাস্তা যদি চলাচলের অযোগ্য হয় এবং ঠিকাদার থেকে শুরু করে উর্ধ্বতন কিছু ব্যক্তি মোটা অংক হাতিয়ে নেয় তাহলে এই রাস্তা কোন কাজে আসবে না।
এ ধরনের কাজ কোনভাবেই উন্নয়নমূলক কাজের আওতায় আসে না। মুখ্যমন্ত্রী এবং মেয়র দুজনেই এই কাজটি তদন্ত করা প্রয়োজন এবং আগামী দিনেও কোন কাজ ঠিকাদারদের দেওয়ার আগে তাদের বিষয়ে সমস্ত খোঁজখবর নিয়ে কাজ দেওয়া প্রয়োজন। নাহলে জনগণের পয়সা এভাবেই লুট হবে। অবিলম্বে এই ধরনের লুটের রাজত্ব বন্ধ করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বিভিন্ন চন্দ্রপুর বলদাখাল, রেশম বাগান সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কার নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠছে। জনগণের পয়সা এভাবেই গিলে খাচ্ছে ঠিকাদার সহ উর্ধ্বতন মহল। এ ধরনের অভিযোগ লাগাতার খবরের শীর্ষস্থান দখল করলেও কোন তদন্ত নেই সরকার এবং নিগম প্রধানের। কোটি কোটি টাকা এভাবে আত্মসাৎ করে সুশাসনকে কলঙ্ক করছে তারা।