স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ অক্টোবর : সম্প্রতি বাংলাদেশে ধর্মীয় সহিংসতায় উদ্বিগ্ন ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ। বাংলাদেশের কুমিল্লা, নোয়াখালী সহ বিভিন্ন স্থানে দুর্গা মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন হিন্দু মন্দির উপর আঘাত নামিয়ে আনা হয়েছে। আর এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। শনিবার সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার জোবায়েদ হোসেনের সাথে দেখা করতে যান। সেখানে হাই কমিশনের কাছে দাবি জানান যাতে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে বাংলাদেশ সরকার আইনত কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে।
পরবর্তী সময় হাই কমিশনারের সাথে দেখা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যে বুদ্ধিজীবী তথা বরিষ্ঠ সাংবাদিক সুবল কুমার দে জানান, বাংলাদেশের মতো দেশের মধ্যে এ ধরনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ। এবং এ ধরনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় ত্রিপুরা রাজ্যের বুদ্ধিজীবী মানুষ। তাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে, সরকার যাতে বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের ধর্ম, সংস্কৃতি এবং বাসস্থান রক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া হাতে মোকাবিলা করতে হবে সরকারকে। কারণ ভারতবর্ষের মানুষ মনে করে এ দেশের মতো বাংলাদেশেও হিন্দু এবং মুসলিম একে অপরের আত্মীয়র মতো। আর ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। কিন্তু ইতিমধ্যে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় শুধু হিন্দুরাই আক্রান্ত হয়নি। সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হয়েছে। এগুলো বাংলাদেশের সরকারের গোচরে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার। এবং তিনি আরো বলেন দুই দেশের মধ্যে সীমানা থাকলেও, কিন্তু দুই দেশের মানুষের মধ্যে কোন ধরনের তফাৎ নেই।
এদিকে বাংলাদেশে সরকারি হাইকমিশনার জানান, দুই দেশের মধ্যে গভীর আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের সরকার প্রত্যেকটি মানুষকে সুরক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশে এ ধরনের অভাবনীয় ঘটনা এড়াতে এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে দোষীদের। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ধর্মীয় উগ্রবাদের উপর মানবতা। মানবতার উপর ধর্মীয় উগ্রবাদ নয় বলে জানান তিনি। এদিন বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন উপাচার্য অরুণাদ্বয় সাহা, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি অরুন নাথ, প্রনব সরকার, সঞ্জয় পাল।