স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ নভেম্বর : কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার হাত ধরে কৈলাসহরের সোনামারা-ছনতৈল পাকা ব্রিজের উদ্বোধন হয়েছে। এই ব্রিজ শহরকে সরাসরি বিকল্প জাতীয় সড়ক পথের সাথে সংযুক্ত করেছে। কৈলাসহরের পাইতুর বাজারস্থিত মোটরস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সরাসরি রাস্তাটি গিয়ে সোনামারা-ছনতৈল পাকা ব্রিজের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। বর্তমানে এই রাস্তাটি প্রশস্ত ও সংস্করণের কাজ চলছে। এই সংস্করণের কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু সংখ্যক গাছ কাটা পড়েছে। এইসব ব্যাপার নিয়ে শহরের পরিবেশ রক্ষাকারী বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথাবার্তা বলেছে।
এদিকে এই রাস্তা প্রশস্ত করণের কারণে কৈলাসহরের পাইতুর বাজারস্থিত মোটরস্ট্যান্ড এলাকায় বহু প্রাচীন বটবৃক্ষ কাটা নিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। লক্ষ্য করা গেছে, এই প্রাচীন বট বৃক্ষকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় অনেক দোকানদাররা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। তাছাড়া এই বট বৃক্ষের গোড়ায় প্রতি শনিবার দিন শনি ঠাকুরের আরাধনা করা হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এই গাছ কাটা নিয়ে ঐ এলাকার মানুষজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গেল, মঙ্গলবার কৈলাসহর পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন নীতিশ দে একরাশ ক্ষোভ নিয়ে স্যন্দন টিভির সামনে বললেন, এই বটগাছ বহু পুরনো।
বহু দশক আগে থেকেই বটগাছটি কৈলা শহরে মানুষের ছত্রছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এর নিচে বহু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দোকান রয়েছে। কিন্তু উন্নয়নের নাম করে কেউ কেউ গাছটিকে কাটার জন্য চক্রান্ত করছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিন আগে কৈলাশহর মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার গাছটিকে কাটানোর জন্য লোক পাঠায়। তখন বাধা দেওয়া হলে তারা সেখান থেকে চলে যায়। সোমবার রাতের বেলা পুনরায় গাছটি কাটা হবে বলে নোটিশ দিয়েছেন মহকুমা শাসক। কিন্তু কোন অবস্থাতেই গাছটি কাটতে দেওয়া হবে না। গাছে হাত দিলে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ রাস্তায় নামবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না প্রশাসন। বিগত দিনেও এমন একটি বটগাছ কেটে কৈলাশহরের মহকুমা শাসককে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। রাতের বেলা মহাকুমার শাসকের বাড়ি পর্যন্ত যারা করা হয়েছে। এবার যদি এই গাছটি কাটার জন্য হাত লাগায় তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে পারে তার ইঙ্গিত দিলেন পৌর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন। এখন দেখার বিষয় পরিস্থিতি কোন দিকে এগিয়ে যায়।