স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ এপ্রিল : বৈরী সন্ত্রাসে বাস্তুচ্যুত পরিবারদের নিজ ভূমিতে ফেরাতে
সরকার উদ্যোগ নেওয়ায় প্রতিবাদ কল্যানপুরে জনজাতিদের কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ সালে কল্যানপুরেই রাজ্যের সর্ববৃহৎ গনহত্যা সংগঠিত হয়েছিল।
সেই সময় থেকেই কল্যানপুরের বিভিন্ন প্রত্যন্তগ্রাম থেকে বহু মানুষ বাস্তু ভিটে ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র গিয়ে বসতি স্থাপন করেছিল। ঠিক ওইভাবেই কল্যাণপুর ব্লকের প্রমোদনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বৈষ্ণব কলোনির প্রায় চার শতাধিক পরিবারের বাঙালি অংশের জনসাধারণ বৈরী সন্ত্রাস জনিত কারণে বাস্তু ভিটা ছেড়ে পশ্চিম ঘিলাতলী ও পূর্ব কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শরণার্থী শিবির গড়ে তুলে। প্রায় ২২ বছর যাবত নিজ দেশেই পরাধীন হিসাবে শরণার্থী জীবনযাপন করে আসছে অসহায় মানুষ জনেরা।
অবশেষে কল্যাণপুরের স্থানীয় বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী শরণার্থী মানুষজনদের স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে নিজেদের ভিটেমাটিতে পুনরায় বসতি গড়ে তুলতে উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রশাসনিকভাবে এলাকাতে শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে টিএসআর ক্যাম্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা গৃহীত হয়। এই মতোই সম্প্রতি খোয়াই জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জেলার এসপি, বৈষ্ণব কলোনি এলাকা সফল করে টিএসআর ক্যাম্প গড়ে তোলার কাজে হাত দেয়।
আর তাতেই যেন জনজাতি অংশের মানুষজনেরা প্রতিবাদী হয়ে উঠে। বৈষ্ণব কলোনি এলাকাতে কোনোভাবেই টিএসআর ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না এই স্লোগান তুলে গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র উত্তেজনা কায়েম হয়। মঙ্গলবার বেলা বারোটা নাগাদ সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজাতি অংশের নারী-পুরুষেরা একত্রিত হয়ে এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে অতিরিক্ত জনজাতি মানুষজনদের শামিল করে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞকে বানচাল করতে উত্তেজনাপূর্ণ স্লোগান তুলে কালো পতাকা উড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। মিছিল পশ্চিম ঘিলাতলী এলাকার বিভিন্ন পথঘাট মারিয়ে সংশ্লিষ্ট বাস্তুভিটা মানুষদের আশ্রয়স্থল দাচোড়া শরণার্থী শিবির এলাকাতেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।