স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ এপ্রিল : নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যে খোলার জন্য একটি চক্রান্ত করছে বিজেপি। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্টের মাধ্যমে সাধারণ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার। আর পরীক্ষা নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা জানায় কংগ্রেস দল। এর রাজ্যের এস এফ আই, টি এস এফ, এন এস ইউ আই, এ বি ভি পি সবগুলি সংগঠন সহ ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী সাধারন ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। সুতরাং বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এমনটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। কিন্তু মানুষ জানে জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা, আরে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আঘাত নামিয়ে এনে জনস্বার্থ পরিপন্থী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এ সরকার। এটি পরিকল্পনা মাফিক করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদীর লক্ষ্য হচ্ছে উচ্চ শিক্ষা সবার জন্য নয় বলে জানান তিনি। সরকার বেসরকারিকরণ করতে নতুন নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজ্যের স্থান দিতে চাইছে। সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হওয়া অসাধ্যকর। কারন সেসব কলেজে পড়াশোনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এতে করে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত হবে। এবং বহিঃরাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা এসে রাজ্যের পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। সুতরাং এ পলিসির তীব্র বিরোধিতা জানায় জাতীয় কংগ্রেস এবং প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। আগামী দিনে সরকারের এই পলিসির বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান সুদীপ রায় বর্মন। আরো বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ফি জমা দিতে হবে। ত্রিপুরার মতো গরীব রাজ্যে বহু অভিভাবক সেই অর্থ বহন করতে পারবে না। রাজ্যের স্কুল গুলিতে শিক্ষা পরিকাঠামোর প্রসঙ্গ টেনে বলেন কম্পিউটারের মাধ্যমে যে এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীর নেওয়া হবে তা কতটা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। কারণ রাজ্যের কয়টি স্কুল ছাড়া অধিকাংশ স্কুলে কম্পিউটারের সুবিধা নেই। এবং আগরতলা শহর বাদ দিলে কয়টি স্কুলে কম্পিউটারের মাধ্যমে পাঠদান করার ব্যবস্থা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুদীপ রায় বর্মন।
এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে দেশের বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতি নিয়ে। কারণ দেশের যা অবস্থা বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে, তাই নিয়ে তুলে ধরা হবে সাংবাদিক সম্মেলনের গুলিতে। কারণ বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে বিভাজন করে সরকারের টিকে থাকা। দেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইউনিটি। আর তার উপর বর্তমানে বিজেপি সরকার আঘাত আনতে চাইছে। এতে অর্থনৈতিক অবস্থার উপর আঘাত নেমে আসছে। শ্রীলংকা থেকে ভারতের অবস্থা তেমন কোনো ভালো মনে হয় না। তাই বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানান সুদীপ রায় বর্মন। এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে গজিয়ে ওঠার আহ্বান জানান। তাদের জন্য ভারত বিশ্বের দরবারে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং গরিমা দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। সকলকে ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে গজে উঠতে বলেন শ্রী বর্মন।