স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ নভেম্বর : বর্তমান সরকারের স্বপ্নের বিদ্যারজ্যোতি নিয়ে দিকে দিকে অভিযোগ। যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ রাজ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পথে হেটেছিলেন, তা বাস্তবায়ন তো দূরের কথা। বরং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা উপর ব্যাঘাত ঘটিয়েছে এই প্রকল্প। অভিভাবকদের মুখে মুখে এমনটাই অভিযোগ। শিক্ষক সংকট থেকে শুরু করে পরিকাঠামোগত বহু ত্রুটি রয়েছে রাজ্যের শতাধিক বিদ্যারজ্যোতি স্কুলে।
এবার দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষক স্বল্পতার কারনে মেলাঘর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের প্রাতঃ বিভাগের পড়ুয়ারা সরব হয়েছে। শিক্ষক স্বল্পতার কারনে লাটে উঠেছে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন। অথচ হেলদোল নেই শিক্ষা দপ্তরের। অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক প্রদানের দাবিতে বহুবার দপ্তরের আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অভিভাবকরা ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ-এর কথা চিন্তা করে ছেলে মেয়েদের স্কুলে প্রেরন করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে সঠিক ভাবে পঠন পাঠন হয়না শিক্ষক স্বল্পতার কারনে। এক প্রকার বাধ্য হয়ে অভিভাবকরা সোমবার বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এক অভিভাবক জানান মেলাঘর দ্বাদশশ্রেণী বিদ্যা জ্যোতি স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষক স্বল্পতা চলছে। বিদ্যালয়ের প্রাত বিভাগে ৫ জন শিক্ষক ছিল।
তার মধ্যে এক জন শিক্ষককে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছে ৪ জন। চার জনের মধ্যে এক জন শিক্ষক কেজি-১ থেকে কেজি-৩-র পড়ুয়াদের পাঠ দান করেন। বাকি তিন জন শিক্ষক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াদের পাঠ দান করেন। এতে করে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের ব্যাঘাত ঘটছে। তাই এইদিন বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হলেও দপ্তরের কোন আধিকারিক বিদ্যালয়ে আসেন নি। তবে এক আধিকারিকের সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিদ্যালয়ে দুইজন শিক্ষক দেওয়া হবে। অভিভাবকরা এইদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিদ্যালয়ে দুইজন শিক্ষক প্রদান করা না হলে তারা সড়ক অবরোধে সামিল হবেন। এখন দেখার শিক্ষা দপ্তর কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।