Thursday, December 26, 2024
বাড়িরাজ্যফুটপাত দখলকারীদের চব্বিশ ঘন্টার সময় বেঁধে দিল প্রশাসন, তারপর চলতে পারে উচ্ছেদ!

ফুটপাত দখলকারীদের চব্বিশ ঘন্টার সময় বেঁধে দিল প্রশাসন, তারপর চলতে পারে উচ্ছেদ!

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ নভেম্বর : বহু চেষ্টা করেও আগরতলা শহরের যানজট মুক্ত করতে পারছে না আগরতলা পুর নিগম এবং ট্রাফিক কর্মীরা। সোমবার সকালে আগরতলা পুর নিগম, পরিবহন দপ্তর, পশ্চিম জেলা পুলিশ এবং ট্রাফিক কর্মীরা যৌথভাবে রাজধানীর মোটর স্ট্যান্ড ও কামান চৌমুহনি এলাকায় অভিযান চালায়। ট্রাফিক এসপি মানিক দাসের নেতৃত্বে এই অভিযান চলে দীর্ঘ সময়।

স্থায়ীভাবে পার্কিং জোন দেখাতে না পারলেও রাস্তার এক পাশে ট্রাফিক কর্মীরা ব্যবসায়ীদের পার্কিং জোন দেখিয়েছে। এদিন ব্যবসায়ীদের মুখোমুখি হতে হয় এসপি-কে। সংবাদমাধ্যমে ক্যামেরা দেখে এসপি ব্যবসায়ীদের জানান, যা বলার অফিসে গিয়ে বলার জন্য। সেখানে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলা হবে। তাদের অভাব অভিযোগ শোনা হবে। এবং রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে লোডিং আনলোডিং করা যাবে না সেটাও নির্দেশ দিয়েছেন। যান চলাচলে যাতে কোন ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য শহরের রাস্তা দখল করে বেআইনিভাবে গাড়ি বা বাইক পার্কিং করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও বেশি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আগরতলা পুর নিগমের পক্ষ থেকে লক্ষ্য করা যায় রাস্তার পাশে স্লেবের উপর যে সমস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বেআইনিভাবে পথ চলার রাস্তা দখল করে রেখেছে তাদের ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

নয়তো তাদের উচ্ছেদ করা হবে। ট্রাফিক এসপি মানিক দাস এই অভিযানের নাম দিলেন জয়েন্ট ড্রাইভ। তিনি জানিয়েছেন, আগরতলা শহরের যতগুলি ব্যস্ততম রাস্তা রয়েছে তার মধ্যে একটি হল পুরাতন মোটর স্ট্যান্ড রোড। এই মোটরস্ট্যান্ড এলাকার রাস্তার দুপাশে ফুটপাত দখল করে আসছে কিছু ব্যবসায়ী এবং দ্বিচক্র যান রাস্তার পাশে ফুটপাত দখল করে বসে আছে। আজকে তাদের সতর্ক করা হচ্ছে, কিন্তু আগামীকাল থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ধরনের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত আগরতলা শহর বলে দাবি করলেন ট্রাফিক এস পি। ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত আগরতলা শহর করতে যে পদক্ষেপ গুলি প্রশাসনকে নেওয়ার প্রয়োজন সেগুলি প্রতিনিয়ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্রফিক এস পি। কিন্তু প্রশ্ন হল, গত দুদিন আগে বটতলা এলাকাতে এধরনের অভিযান চালিয়েছে ট্রাফিক কর্মীরা। কিন্তু ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত হয় নি। কল্যাণ সমিতি থেকে বটতলা গোলচক্র পর্যন্ত অফিস টাইমে বাইক বা গাড়ি নিয়ে আসতে সময় লাগে প্রায় ১৫-২০ মিনিট। এ ধরনের অভিযান বাস্তবে কার্যকর করার জন্য দাবি উঠছে তিতি বিরক্ত পথচারীদের কাছ থেকে। কারণ কেউই সঠিক সময় মত গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। এমনকি যদি একটি অ্যাম্বুলেন্স এই ফিরে আটকে পড়ে তাহলে সেই এম্বুলেন্সকে রাস্তা দেওয়ার মত অবস্থা থাকে না কোন গাড়ি চালকের। গনা কয়েক ট্রাফিক কর্মী সেখানে নিয়োজিত থাকলেও তারা শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে সময় কাটাচ্ছে। ফলে পথচারীদের মধ্যে গুঞ্জন ট্রাফিক আধিকারিকদের নয়া নিয়ম-নীতি কবে কার্যকর হবে? নাকি সবটাই লোক দেখানো?

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য