স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ নভেম্বর : গত আগস্ট মাস থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। আট আগস্ট পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপর ব্যাঘাত ঘটেছে ভারতের। বিগত দিনে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় প্রচুর পরিমাণে মাছ আমদানি হতো।
পাশাপাশি ভারতের উড়িষ্যা, অন্ধপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাকি মাছ আমদানি করে এক লক্ষ ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেট্রিক টন মাছের চাহিদা প্রতি বছর মেটানো হতো। কারণ বছরে রাজ্যে মাত্র ৮৩ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। কিন্তু বর্তমানে অশান্ত বাংলাদেশ থেকে মাছ ত্রিপুরা কত পরিমাণে আসছে তার হিসেব নেই মন্ত্রী সুধাংশু দাসের কাছে। কারণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস শুক্রবার রাজ্য অতিথি শালায় মৎস্য দপ্তরের নিয়ে বৈঠক করতে বসার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হতভম্ব হয়ে পড়েন তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন, বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের মৎস্য চাষীদের। প্রায় ১৩৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এর মধ্যে আপাতত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে। বাকি ক্ষয়ক্ষতের পরিমাণ কেন্দ্র সরকারকে অবগত করা হয়েছে। অবিলম্বে হিসাব-নিকাশ করে বাকি আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলো আশা ব্যক্ত করেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় মাছের চাহিদা বাড়াতে দপ্তরের কর্মীদের সাথে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত মাছের চাহিদা কিভাবে পূরণ করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। কারণ দিন দিন রাজ্যে মাছের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় জোগান অনেক কম হওয়ায় মাছের মূল্য বাজারে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এখন দেখার বিষয় দপ্তর আগামী দিন কতটা সফলতা অর্জন করতে পারে।