Thursday, December 26, 2024
বাড়িরাজ্যপুলিশের নির্মম অত্যাচারের মৃত্যু যুবকের, থানা ঘেরাও ও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে...

পুলিশের নির্মম অত্যাচারের মৃত্যু যুবকের, থানা ঘেরাও ও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলো মনু বাজারের মানুষ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ অক্টোবর : পুলিশের নির্মম অত্যাচারে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে উত্তপ্ত মনুবাজার। থানা ঘেরাও থেকে চলছে পথ অবরোধ। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ, টিএফআর বাহিনী। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত রবিবার রাবার চুরির অভিযোগে মনুবাজার থানাধীন কালাঢেফা এলাকার দুই যুবককে থানায় তুলে আনে মনুবাজার থানার পুলিশ।

এবং পরের দিন থানা থেকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযোগ রাতে পুলিশ তাদের উপর নির্মম অত্যাচার করেছে। ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পরে। এর মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রথমে মনুবাজার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর শান্তিরবাজার ও পরে আগরতলা জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না,  চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় বুধবার রাত তিনটা নাগাদ জিবি হাসপাতালে মৃত্যু হয় যুবকের। মৃত যুবকের নাম বাদল ত্রিপুরা। সংবাদ লেখা পর্যন্ত এখনো পথ অবরোধ চলছে। অবরোধের খবর পেয়ে অবরোধ স্থলে ছুটে আসেন এমডিসি দেবজ্যিৎ ত্রিপুরা ও বিধায়ক মাইলাফ্রু মগ।

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, জেলা পুলিশ সুপার ও মহকুমা পুলিশ সুপার পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে এই ঘটনায় জড়িত সাব ইন্সপেক্টর প্রেমজিৎ রায়কে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার রাতেই তাকে ক্লোজ করে জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি তিন এসপিও -কেও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। দোষীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

 আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথেই পুলিশ মামলাও গ্রহণ করেছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার। এদিকে এলাকার বিধায়ক জানিয়েছেন বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সকলকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাউকে কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। একই সাথে তার ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া হবে। উপস্থিত এমডিসিও জানিয়েছেন এডিসি প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সেদিকে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি ক্রমশ থমথমে হয়ে উঠছে। পুলিশের এই ধরনের ভূমিকা কোনভাবেই গ্রহণ করতে পারছে না মনু বাজারের মানুষ। অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর এবং ৩ এস পি ও -কে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি করছে স্থানীয়রা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য