স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ অক্টোবর : সন্ত্রাসমুক্ত ত্রিপুরা করতে চাইলে আগে দলের লোককে সামলান। আপনাকে চেয়ার থেকে নামিয়ে দিতে আপনার দলের লোকরাই তৈরি হচ্ছে। অর্থাৎ বিরোধীরা আপনাকে বলছে না পদত্যাগ করতে। আপনি সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে কাজ করতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। পুরো দমে কাজ করুন। পাঁচ বছর পর আবার গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী।
তিনি বললেন, আপনার দল প্রিম্যাচিউর। আপনার পূর্ব শরিককে গলা ধাক্কা দিয়ে আসন থেকে নামিয়ে দিল্লি পাঠিয়ে দিয়েছে আপনার দল। কিন্তু তারপরও তার লজ্জা নেই। এখন সে আবার বলছে কাকে ভর্তা খাবে, কাকে গুদগ খাবে। এই নির্লজ্জ বেহায়ার চরিত্র কখনো সংশোধন হয়নি, আর হবেও না। এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা, তিনি বলেন যে পরিস্থিতিতে গিয়ে বর্তমান অবস্থা দাঁড়িয়েছে তার অত্যন্ত উদ্বেগ জনক। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। সদ্য সমাপ্ত দুর্গাপূজায় লক্ষ্য করা গেছে একদিকে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, অপরদিকে মানুষের অভাব অনটন। গত কয়েক মাসে একাধিক খুনের ঘটনা সারা রাজ্যে ঘটেছে। গত ১৩ অক্টোবর মনবাজার থানার পুলিশের নির্যাতনে বুধবার একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েক মাস আগে পুলিশের গাফিলতির কারণে উদয়পুরে এক নিরীহ শিক্ষক হত্যার শিকার হয়েছেন।
তাদের পরিবারে সুস্থ বিচার এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে। আরো বলেন, মায়ের গমনের পরের দিন আগরতলা শহরের মেলার মাঠ এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে তাতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে আরক্ষা প্রশাসনের চরম গাফিলতি। অপরদিকে এর মধ্যে আগরতলা শহরে মায়ের গমনের নাম করে দুর্বৃত্তরা যা খুশি তাই করছে। এবং এই দুর্বৃত্তরা আপনার বিধানসভা কেন্দ্রের। তাই মায়ের গমন অনুষ্ঠানে জড়িত দুর্বৃত্তদের পুলিশ গ্রেপ্তার পর্যন্ত করেনি। এ ধরনের কার্যকলাপের পেছনে মূলত জড়িত শাসক দলের শিষ্যরা। তাই এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করে সুশাসন প্রচেষ্টা করতে পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা দিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করলেন বিরোধী দলনেতা। কারণ তথাকথিত সুশাসনের নাভিশ্বাসের যন্ত্রণা শেষ হচ্ছে না মানুষের বলে জানান তিনি।