স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ অক্টোবর : ১৯৮৯ সালে প্রথম এন এল এফ টি জঙ্গি সংগঠনের জন্ম হয়। পরবর্তী সময় দুটি ভাগে বিভক্ত হয় এ সংগঠন। বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজি, জোর জুলুম থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম বেআইনি সন্ত্রাস ও শান্তি সম্প্রীতি বিনষ্টকারী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। দীর্ঘ কয়েক দশক রাজ্যে তারা সন্ত্রাস চালিয়ে সংগঠন জিইয়ে রেখেছে।
অবশেষে নিজেদের দাবি দাওয়া কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংগঠনের জঙ্গি নেতারা। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে তাদের শান্তি বাতাবরণ তৈরি করতে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কয়েক বছর আলাপ-আলোচনা চলে এবং দর কষাকষিও চলে। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের সাথে গত ৪ সেপ্টেম্বর শান্তির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারপর সাধারণ জীবনে ফিরে আসে তারা। মঙ্গলবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান এন এল এফ টি -র নেতা প্রসেনজিৎ দেববর্মা।
তিনি আরো জানান, ২০০৫ সালে নয়নবাসী জমাতিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে যোগদান করেছিলেন। তারপর তাকে সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে জঙ্গি সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছিলেন সংগঠনের সভাপতি নয়নবাসী জামাতিয়া। তারপর ধীরে ধীরে তিনি সংগঠনের হাই পাওয়ার কমিটির নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কেন্দ্র সরকারকে চিঠি লিখে তাদের দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছিলেন। তারপর কেন্দ্র সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত চার তারিখ তাদের শান্তির চুক্তি হয় বলে জানান এই আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি নেতা। তিনি আরো জানিয়েছেন এখন থেকে এনএলএফটি সংগঠনের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজি, জোর জুলুম সহ কোন ধরনের অশান্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার মতো কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকবে। আর যারা এ ধরনের কার্যকলাপ করার চেষ্টা করবে তাদের সাথে নেই আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিরা। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিও জানিয়েছে তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জঙ্গি সংগঠন এন এল এফ টি -র সাধারণ সম্পাদক বুষ্টং ত্রিপুরা সহ অন্যান্যরা।