স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ অক্টোবর : ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে ড্রাগস ঢুকিয়ে তারপর মারধর করে খুন করা হলো প্রাক্তন বিধায়কের নাতিকে। এমনটাই অভিযুক্ত তুললেন মৃত যুবকের বোন। মৃত যুবকের নাম পুষ্প ত্রিপুরা (২৬)। ঘটনা গন্ডাছড়া নারায়ণপুর চৌমুহনি এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তিন অভিযুক্ত পুষ্প ত্রিপুরার শরীরে একাধিক স্থানে সিরিঞ্জ দিয়ে ড্রাগস ঢুকিয়ে দেয়। তারপর বাইকের চাবি দিয়ে মারধর করে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। আশেপাশের লোকজনেরা দেখতে পেয়ে খবর পেয়ে পুষ্পের পরিবারের লোকজনদের। তারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে স্থানীয় গন্ডাছড়া হাসপাতালে নিয়ে যায় পুষ্প ত্রিপুরাকে।
সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেফার করে উদয়পুর গোমতি জেলা হাসপাতালে। গোমতি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রেফার করা হয় জিবি হাসপাতালে। জিবি হাসপাতালে আনার পর তার সংজ্ঞা ফিরলেও অচৈতন্য অবস্থায় ছিল। তারপর সে ধীরে ধীরে অভিযুক্তদের নাম জানায় পরিবারের লোকজনদের কাছে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে পুষ্প। পুষ্পের দেহে বিভিন্ন স্থানে ইনজেকশনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথায় আঘাত লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি তার কোমরে আঘাত করায় কিডনির মধ্যেও আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে জিবি হাসপাতালের মর্গে ছুটে আসে প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস। তিনি জানিয়েছেন পুষ্পের দাদু বাম বিধায়ক ছিলেন। তার বাবা এবং দাদু দুজনেই উগ্রপন্থীর গুলিতে হত্যা মারা যায়। আজকে যারা পুষ্পকে খুন করেছে তাদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন তিনি। ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকজন। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নেমে আসে শোকের ছায়া।