স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ অক্টোবর : মহালয়ার দিন বিকালে রাজধানীর নেতাজি চৌমুহনী এলাকায় নিগ্রহের শিকার হন দুই ট্রাফিক পুলিশ কর্মী। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। তারপর পশ্চিম আগরতলা থানায় পুলিশ একটি মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় তিন যুবক দুই পুলিশ কর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। এমনকি জাত তুলে তাদেরকে গালিগালাজ করা হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার সময় তুলে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেয় অভিযুক্ত উশৃঙ্খল যুবকরা। পশ্চিম আগরতলা থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ শনিবার দীপ দত্ত নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। এইদিকে মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে গা ঢাকা দেয় বাকি দুই অভিযুক্ত। অবশেষে রবিবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কিরন কুমার কে ও সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেব প্রসাদ রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ আমতলী থানার সহযোগিতা নিয়ে আমতলী থানা এলাকা থেকে পলাতক দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হল দীপ্তনু দাস ও অভিজিৎ পাল। ধৃতরা বড়দোয়ালি বিধানসভা এলাকায় উশৃঙ্খল ও শাসক দলের বাইক বাহিনীর সদস্য হিসাবে পরিচিত।
পলাতক দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর আমতলী থানায় বসে পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কিরন কুমার কে জানান ২ অক্টোবর ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে হেনস্তা করা হয়। ৫ অক্টোবর পশ্চিম আগরতলা থানায় জামিন অযোগ্য ধারা সহ একাধিক ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলা দায়ের হওয়ার পর দীপ দত্ত নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক ছিল বাকি দুই অভিযুক্ত। তাদেরকে রবিবার আমতলী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হল দিপ্তনু দাস ও অভিজিৎ পাল। ধৃতদের সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার। দুই ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে হেনস্তার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়ে যায়। দাবি উঠেছে অভিযুক্ত উশৃঙ্খল যুবকদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা হোক।