স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ এপ্রিল : পেট্রোপণ্যের সেস ও সারচার্জ বাতিল করা, রেশন সামগ্রী নিশ্চিত করা, কেরোসিন ও রান্নার গ্যাসের মূল্য হ্রাস করার দাবিতে সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটি পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত হয়। এদিন মিছিলটি শহরের পশ্চিম জেলা কমিটি অফিসের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।
দেশে বিজেপি সরকার একের পর এক নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বৃদ্ধি করে চলেছে। তার প্রতিবাদে গত ২ এপ্রিল থেকে সারা দেশে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে সারা দেশের সাথে ত্রিপুরা রাজ্য প্রতিবাদ কর্মসূচী করা হচ্ছে। কারণ বিজেপি সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিল তা পালন করছে না। বিশেষ করে বিষয় হল পাঁচ রাজ্যের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর গত ১২ দিনে ১১ বার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। পাল্লা দিয়ে রান্নার গ্যাসের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাইপলাইন গ্যাসের মূল্য পর্যন্ত অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে। কিন্তু পাইপলাইন গ্যাস ত্রিপুরা রাজ্যের মাটির নিচ থেকে উত্তোলন করা হয়। ফলে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। কারণ এ সরকারটা মানুষ মারার সরকার। হোক কেন্দ্রে, হোক রাজ্যে। মানুষের রোজগার দেওয়ার দেখা নেই, কিন্তু মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তাই এর বিরুদ্ধে সিপিআইএম সরব হয়েছে বলে জানান তিনি। পরবর্তী সময় মিছিল সংগঠিত হওয়ার পর প্যারাডাইস চৌমুহনি এলাকায় একটি বিক্ষোভ সভা সংগঠিত করা হয়। বিক্ষোভ সভাতেও পবিত্র কর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধুনো করে বলেন, মিছিল শুরু হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পর্যাপ্ত পরিমাণে সিকিউরিটি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। ভয় ছিল মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে গিয়ে যদি মিছিল থেকে কর্মী-সমর্থকরা প্রবেশ করে। কিন্তু দীর্ঘ ২৫ বছর ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট সরকারের ছিল।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির সামনে গেট লাগাতে হয় নি। দুই শতাধিক নিরাপত্তাকর্মীকে দাঁড় করাতে হয় নি। এত ভয়ে পেছনে মূলত কারণ হলো বিজেপি প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারছে না। বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেনি। ফলে মহাকরণ থেকে বিভিন্ন তথ্য তুলে হিসাব মিলাতে পারছে না নতুন মন্ত্রী। এবং নতুন পাপী বলেও কটাক্ষ করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে পবিত্র কর। তাই এর তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি দিন সিপিআইএম কর্মীসমর্থকরা দাবি জানান সরকারের এ ধরনের দমন-পীড়ন নীতি বিরুদ্ধে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য। দেশ থেকে এবং রাজ্য থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে হবে। তাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। এদিন মিছিলে বামপন্থীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন