স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ এপ্রিল : ক্ষমতায় আসার জন্য উদ্রীগ বলে বিরোধী দলনেতার হতাশা বক্তব্যের মাধ্যমে বহিঃ প্রকাশ ঘটাচ্ছে। শনিবার রবীন্দ্র ভবনের সামনে একটি প্রকাশ্য সমাবেশে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য রেখে নিজেদের ব্যর্থতা ও অপদার্থতা আড়াল করার জন্য মিথ্যা কথা বলে জন সভায় ভাষণ দিয়েছেন। শনিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের স্পষ্টী করণ দিতে গিয়ে এই কথা বলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
তিনি বলেন ২০ বছর বর্তমান বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সরকার পরিচালিত হয়েছে। সেই সময় বেকার তৈরি কারখানায় পরিণত করা হয় রাজ্যকে। যুব সমাজ অন্ধ কারের কানা গলিতে প্রবেশ করে। প্রকৃত জোগ্যদের বাদ দিয়ে মন্ত্রী , বিধায়ক ও নেতাদের কাছের মানুষদের বাছাই করে কেবল চাকুরী দেওয়া হত। মন্ত্রী সভার সিদ্ধান্ত কম গুরুত্ব পূর্ণ ও অল্প বয়সী এক মন্ত্রীকে দিয়ে করানোর বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন প্রশাসনে বয়স দিয়ে কিছু হয় না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বয়স কম। তার পরেও তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা প্রথম যখন মুখ্যমন্ত্রী হন সেই সময় তার বয়স কম ছিল। এখন বিরোধী দলনেতার বয়স ৭২ বছর। তাই বয়স ও দায়িত্ব নিয়ে পাঠ না দেওয়ার বার্তা দেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্য হতাশার বহিঃ প্রকাশ বলে জানান তিনি। বিগত চার বছরে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার চাকুরী হয়েছে। এরমধ্যে নিয়মিত চাকুরী হয়েছে সাড়ে সাত হাজারের মত। আর কনট্রাক্ট ও আউট সোরসিং-র মাধ্যমে চাকুরী হয়েছে ৪৩০০-র উপর। এই সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে মানুষকে মিথ্যা বলে ভুল পথে চালিত করার জন্য প্রচার চালাচ্ছে রাজ্য সরকার চাকুরী দিচ্ছে না বলে। বেকারদের সঙ্গে প্রতারনা করছে বলে প্রচার চালাচ্ছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পুলিশে ১০০০ নিয়োগ করা হবে। প্রতি মন্ত্রী সভার বৈঠকে পদ সৃষ্টি ও নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন সরকারে থাকার সময় তারা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে চাকুরী দিতেন কিনা। ক্ষমতায় আসার জন্য উদ্রীগ বলে হতাশার বহিঃ প্রকাশ ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
মিথ্যা কথা বলে বিগত দিনে যেভাবে বেকারদের অন্ধ কারের কানা গলিতে প্রবেশ করিয়েছেন । কারখানা বানিয়েছেন। এখন স্বচ্ছতার সঙ্গে চাকুরী প্রদান করা হচ্ছে। কোন অভিযোগ নেই। কমিউনিস্ট পার্টির ঘড়ের ছেলে মেয়েরাও চাকুরী পাচ্ছে। বিগত দিনে এই ব্যবস্থা ছিল না। কোভিডের সময় জিবির পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নিজেদের ব্যর্থতা ও অপদার্থতা আড়াল করার জন্য মিথ্যা কথা বলে জন সভায় ভাষণ দিচ্ছেন। ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে কম দায়িত্ববান বলে আখ্যায়িত করলেন। এই ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জ্ঞান আরও আরোহন করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। অনেক কিছু বিরোধী দলনেতার শেখার আছে বলে জানান তিনি। হতাশা গ্রাস করে ফেলেছে বলে জানান।
রাজ্যের জনগণ, যুব সমাজের কাছে আহ্বান জানান মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্য মানুষের সামনে মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য। এই ধরনের বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকার বার্তা দেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।