Friday, November 8, 2024
বাড়িরাজ্যগণধর্ষণের শিকার নাবালিকা কন্যা

গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা কন্যা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ সেপ্টেম্বর : রাজ্যের বুকে ধর্ষণের শিকার এক নাবালিকা। নেক্কার জনক এই ঘটনাটি ঘটে উত্তর জেলার পানিসাগর থানা এলাকায়। থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধর্ষিতা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধৃত দুই অভিযুক্তকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে উওর জেলার পানিসাগর মহকুমার পদ্মবিল গ্রামের এক নাবালিকা বাড়ির অদূরে দোকানে যায় ঠাণ্ডা পানীয় ও বিস্কুট ক্রয় করে নিয়ে আসার জন্য। নাবালিকার বড় বোন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান নাবালিকা দোকান থেকে বাড়িতে আসার সময় দুই যুবক নাবালিকাকে আটক করে প্রথমে তার মুখ বেধে নেয়।

 যাতে করে নাবালিকা চিৎকার দিতে না পারে। এমনকি নাবালিকার সাথে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তার মোবাইলে থাকা বাড়ির লোকজনদের মোবাইল নাম্বার ব্লেক লিস্টে ফেলে দেওয়া হয়। যাতে পরিবারের লোকজন তাকে কল করতে না পারে। পড়ে বাইকের মাঝে বসিয়ে নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় শুনশান জায়গায়। সেখানে নাবালিকাকে মারধর করে নগ্ন করা হয়। তারপর নাবালিকাকে অভিযুক্ত দুই যুবক মিলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ফের নাবালিকাকে মারধর করা হয়। এমনকি নাবালিকার গলাও টিপে ধরা হয়। পর পর ধর্ষণের ফলে একটা সময় নাবালিকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তখন অভিযুক্ত দুই যুবক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে ভেবে একটি রাস্তা পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নাবালিকাকে দেখতে পেয়ে নাবালিকার মাথায় জল দেয়। তখন নাবালিকার জ্ঞান ফিরে আসে। কিন্তু নাবালিকা কথা বলতে পারছিল না। তখন স্থানীয়রা নাবালিকার তাদের বাড়িতে খবড় দেয়। তারপর নাবালিকার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করে উপ্তাখালি প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যায়।

উপ্তাখালি প্রাথমিক হাসপাতালে নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নাবালিকাকে রেফার করে দেওয়া হয় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে। এইদিকে নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে পানিসাগর থানায় ঘটনার বিবরণ জানিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী জানান থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর একটি টিম গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়। এবং সন্ধ্যার মধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ধৃতরা হল হুসমান আলী ওরফে তাজেল, বয়স ২৩ বছর, বাড়ি রৌয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডে এবং আয়াজ উদ্দিন, বয়স ২৬ বছর, বাড়ি রৌয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ডে। শুক্রবার পানিসাগর থানার পুলিশ ধৃতদের আদালতে সোপর্দ করে। জানা যায় ধৃত আয়াজ উদ্দিনের মা মীনা বেগম রৌয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মেম্বার। নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা পানিসাগর মহকুমা জুড়ে চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। দাবি উঠেছে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি প্রদানের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য