স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ এপ্রিল : বিজেপি বামুটিয়া মন্ডলের উদ্যোগে রাজ্যের চা শ্রমিকদের জন্য সরকার একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করায় এক ধন্যবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় দুর্গাবাড়ি চা বাগান এলাকায়। ধন্যবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব , বিজেপি-র প্রদেশ সভাপতি ডক্টর মানিক সাহা, বামুটিয়া মন্ডল সভাপতি বিজু পাল, বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস সহ অন্যান্যরা। সভায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন এই রাজ্যে সিপিআইএম জনগণ বা শ্রমিকদের তাতিয়ে তোলার রাজনীতি করতো ।
বিজেপি তা করেন না । তাদের এতকাল বঞ্চীত করে রাখার মূল কারন হল গরীবরা এগিয়ে গেলে দেশে সিপিআইএম আর থাকবে না বলে । তিনি আরো বলেন সিপিএম নির্বাচনের আগে চা শ্রমিকদের মধ্যে যারা পুরুষ রয়েছেন তাদের দুই তিন দিন খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট একটা চিহ্নে ভোট দেবার কথা বলতেন। ২০১৪ সালের দেশ ব্যাপী পরিবর্তনের পর ২০১৮ সালে ত্রিপুরাতে পরিবর্তন আসে। কমিউনিস্টদের শাসনের অবসান হয়। তারা নিজেদের শ্রমিক, ক্ষেত মজুর , মজদুর, কৃষকদের সরকার বলে দাবি করত। এই সময়ে মানুষ কি পেয়েছে তাঁর হিসাব সকলের কাছে আছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
চা শ্রমিকদের বেশির ভাগের কাছে জমির মালিকানার কাগজ নেই। যার ফলে সমস্ত কিছু থেকে বঞ্চীত থাকতে হবে শ্রমিকদের। তাই এই সমস্ত পরিষেবা পেয়ে জমির মালিকানার কাগজ প্রয়োজন। নিজের ভিটে মাটির স্বপ্ন সকলের মধ্যে আছে। মাটির সঙ্গে মানুষের সব চেয়ে ভালবাসা বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কাউকে আন্দোলন, ডেপূটেশন দিতে হয়নি। সরকার শ্রমিকদের সেই অধিকার দিয়েছে। ২০১৫ থেকে বলার পরেও পূর্বতন সরকার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেনি। বর্তমান সরকার সেই মজুরি বৃদ্ধি করে করেছে ১৭৬ টাকা বলে জানান তিনি। এতকাল কেন করা হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন পার্শ্ববর্তী রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন এর জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে হয় । ত্রিপুরাতে যদি বিজেপি সরকার না থাকতো তাহলে ভ্যাকসিন এর জন্য আন্দোলন করতে করতে মারা যেত সাধারন জনগন। এদিন বামুটিয়া এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ৭ টি চা বাগানের শ্রমিকরা উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।