স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ এপ্রিল : শুক্রবার বাৎসরিক ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে পড়ুয়া এবং তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরীক্ষার চাপ এবং সেই সংক্রান্ত অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। একটি টুইটে লিখেছেন যে এই বছরের ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কে ঘিরে উত্তেজনা অভূতপূর্ব। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত এবং অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। যে যেসব পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবক এতে অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পঞ্চম ‘পরীক্ষা পে চর্চার’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী আলোচনা করেন পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের সঙ্গে। দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন রাজধানীর মহারানী তুলসীবতি বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সকলের সঙ্গে বসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, শিক্ষা দপ্তরের সচিব ব্রীজেশ পান্ডে, শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা চান্দ্রেয়ী চান্দন সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। প্রধানমন্ত্রী যে দিশাতে মার্গ দর্শন করেছেন সেই রাস্তায় একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চলার চেষ্টা করেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এর মধ্যে সব গুলি সফল হয়ে গেছে এমনটা নয়। রাজ্য থেকে দুই লক্ষের উপর ছাত্র ছাত্রী এই অনুষ্ঠানে অন লাইনে অংশ নিয়েছে। ১৫০ টি স্কুলে এই সরাসরি অনুষ্ঠান দেখানো হয়েছে। এগুলি নিজের জীবনে নিয়ে এসে পালন করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ছাত্র ছাত্রীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নানান বিষয় সহজ সরল ভাবে তুলে ধরেছেন। পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের সামাজিক জীবনে এই উত্তর সহায়ক হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এগুলি পালন করলে জীবন সুন্দর হবে বলে জানান। একটা দীর্ঘ সময় উত্তর পূর্বাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ ছিল। নাগাল্যান্ডে বেশী সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটত। ৪২ বছর যাবত ভারত সরকারের সঙ্গে যে সংঘর্ষ চলে আসছিল তাঁর পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়ের বেশ কিছু এলাকা থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করার মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে অবিশ্বাসের পরিবেশের পরিসমাপ্তি ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর উপর ভারত বর্ষের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের ভরসা আছে। সেই জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চলের সমস্ত রাজ্য গুলি এক সাথে উন্নয়নের দিশাতে চলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শান্তি ও সম্প্রীতি এসে গেছে তা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেছেন দেখে এটা বাস্তবায়িত হয়েছে। তাঁর জন্য দুজনকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের নাগরিক হিসাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আমবাসা পুর পরিষদের একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার সুমন পালের বিজেপি-তে যোগদান প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন এটা নিশ্চিত ভাল দিক। সমস্ত দিক থেকে মানুষ এখন বিজেপি-তে যোগদান দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরোদেস ব্যাপী যে উন্নয়ন ঘটছে তারই দিশা হিসাবে মানুষ বিভিন্ন দল মত ছেরে একটা জায়গায় আসছে। আর সেটা হচ্ছে শান্তি ও উন্নয়ন। আর মানুষ সেটা বোঝে বলে নিজে থেকেই আসছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রীদের ও অভিভাবকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। বেশ কিছু বিষয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। সদর্থক ভাবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।