রাজ্যের স্কুলগুলিতে ১ থেকে ৪, ৬ ও ৭ শ্রেণীর পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা করেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ
করোনার জেরে দেশজুড়ে বাতিল হচ্ছে বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষা। স্থগিত হচ্ছে জাতীয় স্তরের আরও বহু পরিক্ষা। এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ রাজ্যেই স্কুলগুলি এখনও অনলাইনেই ক্লাস চালাচ্ছে। ত্রিপুরাতেও একই অবস্থা। করোনার জেরে সেরাজ্যে ইতিমধ্যেই লকডাউনও জারি হয়েছে। এই অবস্থায় সেরাজ্যের স্কুলগুলিতে ১ থেকে ৪, ৬ ও ৭ শ্রেণীর পড়ুয়াদের বিনা পরীক্ষাতেই পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করার ঘোষণা করল ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী।
রাজ্যের স্কুলগুলিতে ১ থেকে ৪, ৬ ও ৭ শ্রেণীর পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা করে ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে পঞ্চম শ্রেণী বাদে ১ থেকে ৭ শ্রেণীর ছাত্রদের কোনও পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তাদেরকে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে। তবে ক্লাস ৫ এবং ৮ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই ক্লাসের পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। তবে করোনা সংক্রমণের পর পরবর্তীতে স্কুল খুললে পড়ুয়াদের পরীক্ষা দিতে হবে। করোনাকালে তাদের বৃদ্ধি পর্যালোচনা করতে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
এদিকে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষা স্থগিত বা বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। তাছাড়া ক্লাস ৯ এবং ১১-এর পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হবে ত্রিপুরা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে। রতন লাল জানান এরপরই ক্লাস ৯ এবং ১১-এর পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে স্কুলগুলির গ্রীষ্মকালীন ছুটি ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা করেন ত্রিপুরা শিক্ষামন্ত্রী।
উল্লেখ্য, করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে সেরাজ্যে লকডাউন চলছে। গত ১৭ মে ঘোষণা করা হয় এই দশদিনের লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম জেলার রণিরবাজার নগর পঞ্চায়েত, নাগিচেরা ও বিএসএফ পাড়া, উত্তর জেলার পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত, উনাকোটি জেলার কৈলাসহর পৌরসভা, উদয়পুর পৌর কাউন্সিল এবং গোমতী জেলার অমরপুর নগর পঞ্চায়েত, সিপাহিজালার বিগলগড় পৌরসভা এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই লকডাউন চলাকালীন মুদি, শাকসবজি, ফলমূল ও মাছ এবং মাংসের দোকান ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে বলে জানানো হয়েছে।