Saturday, December 21, 2024
বাড়িরাজ্যদুর্ঘটনা এড়াতে মানুষকে সচেতন হতে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর, গাড়ির সিটবেল্ট নিয়ে সজাগ হতে...

দুর্ঘটনা এড়াতে মানুষকে সচেতন হতে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর, গাড়ির সিটবেল্ট নিয়ে সজাগ হতে বললেন ট্রাফিক দপ্তরকে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ সেপ্টেম্বর : রাজ্যে যানবাহনের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ২০৩ টি। এর মধ্যে দ্বিচক্র যান ৫ লক্ষ ৫৬ হাজার। গত ছয় বছরে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩,৩০৭ টি। এর মধ্যে ১,৩৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৩,৭২৪ জন। তাই এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে মানুষকে অনেক বেশি সচেতন হওয়ার প্রয়োজন। রবিবার রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে রাজ্য পরিবহন দপ্তর আয়োজিত সড়ক সুরক্ষা কার্যক্রমের সূচনা করে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যাত্রী সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে রাজ্য পরিবহন দপ্তরকে আরো বেশি সুদৃঢ় করেছে রাজ্য সরকার। ২০১৪ সালে ১২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট সড়ক সুরক্ষার উপর একটি কমিটি গঠন করেছে।

এর নাম দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অন কমিটি রোড সেফটি। রাজ্য স্টেট রোড সেফটি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া স্টেট রোড সেফটি কমিটির গঠন করা হয়েছে। দুর্ঘটনা রুখতে এই কমিটি রাজ্যের দায়িত্ব পালন করছে। মুখ্যমন্ত্রী ট্রাফিক কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ট্রাফিক কর্মীরা যাতে সজাগ হয়। অধিকাংশ গাড়ি চালক সিট বেল্ট না পরে ড্রাইভ করেন। এতে দুর্ঘটনায় গাড়ি চালকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গুরুতর আহত হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন ত্রিপুরায় যানবাহনের তুলনায় দুর্ঘটনার হার অনেকটাই কম। এটা অত্যন্ত ভালো একটি দিক হলেও দুর্ঘটনায় কিভাবে রুখে দেওয়া যায় সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন দুর্ঘটনা নিয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে। সরকার নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার যেমন ডাক দিয়েছে, বিশেষ করে নেশাগ্রস্ত হয়ে কেউ যাতে গাড়ি ড্রাইভ না করে। কারণ নেশাগ্রস্ত হলে দুর্ঘটনায় প্রবণতা বাড়ে। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেছেন বন্যা দুর্গতদের রক্ষা করতে মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছে ঠিক সেভাবেই যাতে মানুষ দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য এগিয়ে আসে। কারণ বিভিন্ন সময় দেখা যায় মানুষ দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষকে এড়িয়ে যায়। এটা ঠিক নয়, মানুষকে বাঁচাতে গণজাগরণ হওয়া দরকার। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন প্রতিবছর দেশে দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায়। পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। তাই সকলকে সচেতন ভাবে ড্রাইভ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে ড্রাইভ করার সময় কেউ যাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে। সুতরাং সচেতন হয়ে যাতে সকলে ড্রাইভ করে তার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন আয়োজিত অনুষ্ঠানের পর সড়ক সুরক্ষা সংক্রান্ত দুটি পুস্তকের আবরণ উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ৪৫ জন মহিলাদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের শুভ সূচনা করেন। ১৬ টি নতুন ট্রাফিক বহনের ফ্ল্যাগ অফ করেন। অনুষ্ঠানে পরিবহন দপ্তরের কর্মীরা বন্যা দুর্গতদের জন্য এক লক্ষ ৭৩ হাজার ৩৫০ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে প্রদান করেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য