স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ সেপ্টেম্বর : নদী ভাঙ্গনের ফলে আতঙ্কে ভুগছে সোনামুড়া মহকুমার দুর্গাপুর ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। যে কোন সময় নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে এলাকার ৩৫ টি পরিবার। এলাকাবাসীর দাবি নদীতে বোল্ডার বসিয়ে অবিলম্বে নদীর ভাঙ্গন রোধ করার জন্য। অসহায় এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি বন্যার সময় ভয়াবহ রূপ ধারন করে গোমতী নদী। নদীর জল স্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নদীর দুই পাশের শতশত বাড়ি ঘর জলমগ্ন হয়ে পরে।
সোনামুড়া মহকুমার দুর্গাপুর ৪ নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাড়ি ঘরে নদীর জল ঢুকে পরে। মানুষ বাড়ি ঘর ত্যাগ করে আশ্রয় নেয় শরণার্থী শিবিরে। নদীর জল স্তর হ্রাস পাওয়ার পর বাড়ি ঘর থেকে জল নেমে যায়। তারপর মানুষ ত্রান শিবির থেকে বাড়িতে ফিরে যায়। বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর দুর্গাপুর ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নতুন আতঙ্কে ভুগছে। কারন দুর্গাপুর ৪ নং ওয়ার্ডটি গোমতী নদীর পারে অবস্থিত। সেখানে প্রায় ৩৫ টি পরিবারের বসবাস। গোমতী নদীর জল স্তর হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে শুরু হয়েছে নদীর ভাঙ্গন। নদীর ভাঙ্গনের ফলে নদীর পারে থাকা বাড়ি গুলি যে কোন সময় নদীর গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে একটি বাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে।
বাকি বাড়ি গুলিও যে কোন সময় নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে। ফলে এই সকল বাড়ির লোকজনরা আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছেন। এলাকার এক ব্যক্তি জানান দুর্গা পুর ৪ নং ওয়ার্ডে গোমতী নদীর পারে প্রায় ৩৫ টি পরিবারের বসবাস। নদীর ভাঙ্গনের ফলে যে কোন সময় বাড়ি গুলি নদীর গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে। এলাকার বিধায়ক বন্যার সময় এলাকায় গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নদীর জল কমে গেলে নদীর ভাঙ্গন রোধের জন্য নদীতে বোল্ডার বসানো হবে। তিনি দাবি জানান অবিলম্বে নদীর ভাঙ্গন রোধে নদীতে বোল্ডার বসানো হোক। অন্যথায় নদীর পারে থাকা বাড়ি গুলি নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে। যদিও সরকারি ভাবে নদীর ভাঙ্গন রোধে নদীতে বোল্ডার বসাতে হলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। কারন ডিপিআর তৈরি করে, তার অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট প্রেরন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হলে তবেই নদীতে বোল্ডার বসানোর কাজ শুরু করা সম্ভব। এই পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে এলাকার বিধায়ক কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সেটাই এখন দেখার।