স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ আগস্ট : সম্প্রতি বন্যার সময় বন্যা কবলিত মানুষদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রান হারান রাজধানীর ইন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ দে। শনিবার প্রয়াত চিরঞ্জিৎ দে-র বাড়িতে যান তিপ্রা মথা সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন। সাথে ছিলেন মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। বন্যার পর এই প্রথম হয়তো তথাকথিত মহারাজা এবং তার অন্যতম সৈনিক দুজন পথে পা রেখেছে। যাইহোক প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন এইদিন প্রয়াত চিরঞ্জিৎ দে-র বাড়িতে গিয়ে তার বৃদ্ধ মা-বাবার সাথে কথা বলেন। তাদেরকে সমবেদনা জানান।
তাদের হাতে তুলে দেন আর্থিক সাহায্য। পরে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান বন্যা আসলে সকলকে এক সাথে কাজ করতে হয়। তিনি আগেই ঘোষণা দিয়েছেন বন্যার ফলে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদেরকে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ৫০ হাজার টাকা করে প্রদান করবেন। সেই মোতাবেক এইদিন তিনি প্রয়াত চিরঞ্জীৎ-এর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন। আরো কথা বলেন রানীরবাজারের কালী মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা নিয়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন বলেন সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পিছনে রাজনৈতিক হাত রয়েছে। তবে ত্রিপুরা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসা ঠিক নয়।
কারন ত্রিপুরা রাজ্য একটা উন্নত রাজ্য। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ ভারতে বসবাস করে। যারা কালী মূর্তির মাথা ভেঙ্গেছে তাদের গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। মানুষের বাড়ি ঘর ভাঙ্গা ঠিক নয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো ভারতের ভুমিকা হওয়া উচিত নয়। ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাসে এইবার ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। অথচ দেখা মিলেনি পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সাংসদ কৃতি সিং দেববর্মণকে। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন কোথায় কৃতি সিং দেববর্মণ। তার জবাব দিলেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান কৃতি সিং দেববর্মণ আগরতলা রয়েছেন। রবিবার গোমতী জেলা ও শান্তিরবাজার যাবেন তিনি। ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত মানুষের সাহায্যের জন্য তিনি এক কোটি টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে রাজনীতি করার সময় নয়। বর্তমানে সকল অংশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মানুষ সমস্যার মধ্যে রয়েছে। সকলে মিলে বর্তমানে কাজ করতে হবে। অপরদিকে রাজ্যে বাংলাদেশী নাগরিকদের অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা বলেন তিনি। প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন বলেন বাংলাদেশীদের রাজ্যে অনুপ্রবেশ মেনে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশ সমস্যার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশী নাগরিকদের ভারতে অনুপ্রবেশ মানা যায় না। ভারত সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।