স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ আগস্ট : সুশাসনের রাজ্যে আক্রান্ত গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। ঘটনার ১১ দিন পরও অধরা অভিযুক্তরা। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ১৪ আগস্ট যুবরাজনগর ব্লকের ভোট গণনা কেন্দ্র হাফলং টি স্টেট স্কুলে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্নানাকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। নির্বাচন কমিশনারের পোর্টালে যুবরাজনগর ব্লক কতৃক ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল আপলোড করার বিষয় নিয়ে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা স্থানীয় আর.ও তথা যুবরাজ নগরের ব্লকের বিডিও-র নিকট অভিযোগ জানাতে যায়। এই খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করার জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করার সময় পুলিশের সামনে কিছু দুষ্কৃতী সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আহত হয় ধর্মনগরের তিনজন সাংবাদিক।
তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। পরবর্তী সময় অভিযুক্তদের নাম সহকারে ধর্মনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের করার পর ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও সুশাসনের রাজ্যের পুলিশ অভিযুক্তদের জালে তুলতে পারে নি। ফলে অভিযুক্তরা বুক ফুলিয়ে ঘোরে বেড়াচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে ধর্মনগরের সকল সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে শনিবার সকালে উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর দ্বারস্থ হয়। সাংবাদিকরা এইদিন জেলা পুলিশ সুপারকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সহসাই পুলিশ আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবে। পুলিশ সুপার আশ্বাস দিয়েছেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী জানান নতুন সংশোধিত আইন মোতাবেক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেই বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের অবগত করবেন। তবে আবাক করার বিষয় থানায় মামলা দায়ের করার ১১ দিনের মধ্যে পুলিশ একজন অভিযুক্তকেও জালে তুলতে পারে নি। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারে নি, নাকি গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করে নি। এই নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। সে যাই হোক এইদিন জেলা পুলিশ সুপার আশ্বাস দিয়েছেন সহসাই আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তখন দেখার জেলা পুলিশ সুপার কথা দিয়ে কথা রাখেন কিনা। নাকি বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামতে হয় সংবাদ মাধ্যমকে।