Friday, June 27, 2025
বাড়িরাজ্যবিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে রোগীর পরিবারের তীব্র ক্ষোভ হাসপাতাল চত্বরে

বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে রোগীর পরিবারের তীব্র ক্ষোভ হাসপাতাল চত্বরে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৫ জুন: সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। কিন্তু মৃত দেহের ময়না তদন্তে নারাজ পরিবার। ঘটনা উত্তর জেলা হাসপাতালে। মৃতার নাম শুক্লা দাস। বয়স ৬০ বছর। অভিযোগ, চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যু মাঝ বয়সী এক মহিলার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে। জানা গেছে, শনিবার সকালে ধর্মনগর মহকুমাধীন ঢুপিরবন্ধ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুক্লা দাসকে পেটে ব্যাথা জনিত সমস্যায় পরিবারের লোকজন ধর্মনগর উত্তর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

যথারীতি সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে শুরু হয় চিকিৎসা। মৃত মহিলার ছেলে অমল দাস জানান, মায়ের পেটে ব্যাথা নিয়ে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে এসেছিলেন। তখন সার্জারি ওয়ার্ডের ইনচার্জ সার্জন ডাঃ শুভেন্দু ভট্টাচার্য ছিলেন। কিন্তু পেটে ব্যাথার জন্য করানো হয় সিটি স্ক্যান। যথারীতি সিটি স্ক্যান করে ইনজেকশন ও সেলাইন দেওয়ার পর প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। পরে সার্জন স্পেশালিস্ট ডাঃ শুভেন্দু ভট্টাচার্যের সাথে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেখর সরকার যোগাযোগ করে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক জানালেও তিনি আসবেন বললেও আর আসেননি। পরে বিনা চিকিৎসায় মারা যান তার মা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়টা নষ্ট করেছেন।

তার মাকে মারার পেছনে সম্পূর্ণ দায়ী সার্জন ডাঃ শুভেন্দু ভট্টাচার্য। তার দাবি, চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা হয়নি। তিনি জানান, ধর্মনগর থানায় গোটা ঘটনায় একটি মামলা নথিভুক্ত করবেন। পাশপাশি তিনি, গোটা ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে সুষ্ঠ তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। এদিকে জেলা‌ হাসপাতালের কতর্ব্যরত চিকিৎসক শেখর সরকার জানান, রোগীর আত্মীয়রা দু- দুবার তার কাছে রোগীর সমস্যা নিয়ে আসেন। তিনি দুইবার রোগীকে দেখে প্রাথমিক ঔষধ দেন। সাথে ওই রোগীর স্পেশালিস্ট ডাঃ শুভেন্দু ভট্টাচার্যকে ফোন করে রোগীর অবস্থার সংকটাপন্ন বললে তিনি জানান উনার আসতে দেরি হবে।পরে সন্ধ্যা নাগাদ খবর আসে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তখন তিনি সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখতে পান রোগী মারা গেছেন। তার দাবি , যেহেতু সকাল থেকে ডাঃ শুভেন্দু ভট্টাচার্য ওই রোগীকে দেখছেন তথা নলেজে আছে এবং এটা সার্জারি বিষয় এখানে সার্জনের পরামর্শ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর যেহেতু তিনি বলেছেন তার আসতে একটু দেরি হবে তাই তিনি ওই চিকিৎসকের অপেক্ষাই করেছেন। আর রোগীকে মুখের উপরে রেফার করারও সুবিধা নেই। রোগীর আত্মীয় পরিজনরা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দাবি জানালে হাসপাতালের তরফে ধর্মনগর থানায় খবর দিলে ছুটে আসে পুলিশ। এদিকে

এই ঘটনার পর হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের আত্মীয়স্বজন চিকিৎসক সার্জনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান। পাশপাশি এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আবারও প্রশ্নের মুখে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিকাঠামো ও দায়বদ্ধতা। তবে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই পরিষ্কার হবে প্রকৃত দায় কার। আপাতত জেলা জুড়ে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!