Monday, September 16, 2024
বাড়িরাজ্যপর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী রয়েছে রাজ্যে, রয়েছে নয় দিনের পেট্রোপণ্য, গুজবে কান...

পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী রয়েছে রাজ্যে, রয়েছে নয় দিনের পেট্রোপণ্য, গুজবে কান না দেওয়ার আহবান মন্ত্রীর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ আগস্ট : গত কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরা রাজ্য এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রশাসন এই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সমস্ত ধরনের প্রয়াস গ্রহণ করেছে। খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সকলের কাছে আহ্বান জানানো হচ্ছে পি ডি এস সামগ্রী অর্থাৎ রেশনের মজুদ সামগ্রী এবং বাজারে মজুদ সামগ্রী নিয়ে যাতে কোথাও কোন উদ্বেগ সৃষ্টি না করা হয়।

 ইতিমধ্যে রাজ্যের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের কড়া ভাষায় বলা হয়েছে বাজারে যাতে দ্রব্যমূল্য কোনভাবেই বৃদ্ধি না পায়। কারণ বিভিন্ন সময় দেখা যায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগে থাকে নিত্য প্রয়োজনে সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি করার। তাই তাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তারপর ব্যবসায়ী মহলের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি তারা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে মানুষকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসবে বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। শুক্রবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি আরো বলেন, রেশনের মাধ্যমে কোন জিনিসের ঘাটতি নেই। বর্তমানে রেশন শপগুলিতে এবং খাদ্য দপ্তরের কাছে ছিয়াত্তর দিনের চাল মজুদ রয়েছে। সুতরাং উৎকণ্টার কোন অবকাশ নেই। গম ও আটা ৯৯ দিনের রয়েছে। লবণ ৩১ দিনের রয়েছে, মসুর ডাল ১৬ দিনের রয়েছে, চিনি বর্তমানে পাঁচ দিনের রয়েছে।

গত দুমাস টেন্ডারের জন্য রেশনের মাধ্যমে চিনি দেওয়া যায়নি। কিন্তু দুর্গাপূজার মাসে গত দু মাসের বকেয়া চিনি সহ সেই মাসের চিনি প্রদান করা হবে। এর বাইরে বাজারে চাল ২৭ দিনের রয়েছে, ডাল ১১ দিনের রয়েছে, ভোজ্য তেল ৮৩ দিনে রয়েছে, চিনি ২৫ দিনের রয়েছে, আলু রয়েছে সাতদিনের, পেঁয়াজ ৫ দিনের রয়েছে, আটা ৪২ দিনের রয়েছে, লবন ৩৮ দিনের রয়েছে। সুতরাং কোন ধরনের ঘাটতি নেই। তাই মানুষের মধ্যে যাতে কোন ধরনের গুজব সৃষ্টি না হয়। বিশেষ করে কোন বাজারে যদি কোন ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে এবং দ্রব্যমূল্য কারো কাছ থেকে বেশি রাখে তাহলে খাদ্য দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। তাহলে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সাথে সাথে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে এ ধরনের কড়া বার্তা দেওয়ার পেছনের মূলত উদ্দেশ্য হলো বন্যার পর পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হতে পারে। সবকিছু জলের নিচে আছে। জল বাহিত রোগ সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।

তাই এই পরিস্থিতিতে যাতে দ্রব্যমূল্য কোনভাবেই বৃদ্ধি না করা হয়। মহকুমা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিনে দুবার যাতে ব্যবসায়ীদের মাইকিং করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করার জন্য সচেতন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখন পর্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকায় গুলি মানুষের জন্য প্যাকেটজাত খাবার হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ৩১৪০ প্যাকেট ফেলা হয়েছে। আরো ৮ হাজার প্যাকেট প্রস্তুত রয়েছে। এগুলি মানুষের জন্য প্রদান করা হবে। সর্বমোট কুড়ি হাজার প্যাকেট মানুষের উদ্দেশ্যে প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে। পেট্রোপণের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, গত দুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে পেট্রোল পাম্প গুলিতে উপচে পড়া ভিড়। রাজ্যের বর্তমানে নয় দিনের পেট্রোল এবং ডিজেল রয়েছে। অযথা উৎকণ্ঠা না বাড়ানোর জন্য জানিয়েছেন মন্ত্রী। মুঙ্গিয়াকামীর কাছে রাস্তা খারাপ হয়েছে। এ বিষয়ে পূর্ত দপ্তরের সচিবের সাথে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন আগামী দুদিনের মধ্যে রাস্তার সংস্কার করা হবে। সুতরাং মজুদ রয়েছে তার জন্য কেউ যাতে গুজব না ছাড়ায়। পেট্রোল এবং ডিজেলের কোন সংকট নেই রাজ্যে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য