Sunday, December 22, 2024
বাড়িরাজ্যপ্রথা মেনে দূর্গা বাড়িতে মনসা পূজা অনুষ্ঠিত

প্রথা মেনে দূর্গা বাড়িতে মনসা পূজা অনুষ্ঠিত

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ আগস্ট : শনিবার বিষহরি দেবী মনসার  পুজো। ঘরে ঘরে পুজিত হচ্ছেন দেবী মনসা। তেমনি, প্রথা মেনে দূর্গাবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় মনসা পূজা। শ্রাবণ মাসের সংক্রান্তি তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় মনসা পূজা। মনসা, কেতকা, পদ্মাবতী—এই নামেই মনসাদেবী সমধিক প্রসিদ্ধ।মূলত হিন্দুধর্মে  মনসা হলেন ভগবান শিবের কন্যা কিন্তু একজন ঋষির দ্বারা লালিত-পালিত হয়েছিলেন তিনি। মা মনসার দুই রকম রূপ। পৌরাণিক রূপ অন্যটি হলো লৌকিক রূপ। মা মনসা কে মূলত শিবের পুত্রী হিসেবে পুজো করা হয়।

 আগেকার দিনে মূলত জেলে ও কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষ মায়ের পুজো করত। পরে ধীরে ধীরে এই পুজোর প্রচলন বাড়ে। মা মনসার জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে নানারকমের কাহিনি রয়েছে। কেউ বলেন তিনি পদ্মবনে জন্মগ্রহণ করেছেন। কেউ বলে তিনি কেয়াবনে জন্মগ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ আবার বলে থাকেন তিনি পাতাল কুমারী কারণ তার জন্ম পাতালে। মা মনসার সঙ্গে চাঁদ সওদাগরের দ্বন্দ্ব সর্বজনবিহিত। চাঁদ সওদাগর মূলত ছিলেন শিবের ভক্ত।

 তিনি মা মনসা কে কিছুতেই দেবী হিসেবে মানতে চাননি প্রথমে। পরে তারই হাতে দেওয়া ফুল দিয়ে প্রথম মর্ত্যলোকে মা মনসার প্রথম পুজো আরম্ভ হয়। দূর্গাবাড়ির পুরোহিত জানিয়েছেন, মা মনসা বিহার , বাংলা , ত্রিপুরা,ওড়িশা , ঝাড়খণ্ড , আসাম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য অংশে এবং উত্তরাখণ্ডে প্রধানত সাপের কামড় প্রতিরোধ ও নিরাময়ের জন্য এবং উর্বরতা ও সমৃদ্ধির জন্য পূজিত হয়ে থাকেন। আমাদের রাজ্যে বেশ সাড়ম্বরে এদিন দেবী মবসা পুজিত হন। একমাস ব্যপী মনসার পুথি পাঠ চলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে। সনিবার দেবীর পুজোর পরে সারা রাতব্যপী পদ্মাপুরন পুথি পাঠ চলে রবিবার দেবী মনসার গ্রন্থের পাঠ শেষ করে দেবীর প্রতিমার বিসর্জন হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য