স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ মার্চ : সোমবার পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে জেলা পরিষদের সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের সভায় পৌরহিত্য করেন মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়। এছাড়াও ছিলেন পশ্চিম জেলার সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান, প্রধান, উপ প্রধান সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের জেলা স্তরের আধিকারিকেরা।
এদিন পশ্চিম জেলায় চলা একাধিক উন্নয়ন মূলক কাজের অগ্রগতি, বর্তমান অবস্থা, সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এদিনের বৈঠকে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় বলেন জেলা পরিষদ ও দপ্তর গুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যে কারনে বেশ কিছু কাজ সঠিক সময় করা যাচ্ছে না। প্রস্তাব পাঠানো এবং তা কার্যকর করা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে তিনি নির্দেশ দেন যে সমস্ত কাজ হচ্ছে তার কপি জেলা পরিষদের কাছে পাঠাতে। পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের সদস্যদের মাধ্যমে দেখবে। এই ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বও কম নয়। কিছু কিছু দপ্তর সঠিক সময় জবাব দিচ্ছে না। সময়ের কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। পূর্ত, নগরোন্নয়ন দপ্তরের চাপ বেশী।
নিজেদের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে কাজ গুণগত এবং সময়ের মধ্যে শেষ হবে না বলে জানান মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়। বৈঠকে দপ্তর থেকে প্রতিনিধি থাকা আবশ্যক বলেও জানান তিনি। তবে এদিন সভায় সরকারি ফান্ড নিয়ে মোহনপুর মহকুমা পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা আপত্তি জানান। অর্থ রাশির অভাবে উন্নয়ন মূলক কাজ হচ্ছে না। অল্প টাকায় কাজের হিসেব হলে পরবর্তী সময় তা নিয়ে অনিহা প্রকাশ করা হলো কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার মূল কারণ। সমস্ত অভিযোগ শোনার পর স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস বৈঠকে সরকারি কর্মীদের বলেন যতটুকু টাকা আছে সেই টাকা দিয়ে কাজ শুরু করার জন্য। আর কাজ সম্পন্ন না হলে পরবর্তী সময় দেখা যাবে। পি ডব্লিউ ডি এগজেকিউটিভ অফিসার সহ অন্যান্য কর্মীরা এধরনের কথা শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েন বৈঠকে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ টাকা কিভাবে কোথা থেকে ব্যবস্থা করা হবে, সে বিষয়ে কোন সদুত্তর মেলেনি প্রশাসনের আধিকারিকদের বলে সূত্রের খবর। সুতরাং এদিন জনপ্রতিনিধিদের অবস্থা অনেকটাই এমন হয়ে উঠে “ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।”