স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ মার্চ : রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ে ধর্মঘটের প্রথম দিন কোন প্রভাব পড়ে নি। আগরতলা শহর সহ বাকী সমস্ত মহকুমাতে ছিল সর্বত্রই খোলা। বাজার হাট, দোকানপাট অফিস-আদালত সবই ছিল খোলা। গাড়ি চলাচল ছিল অন্যান্য দিনের মত স্বাভাবিক। এদিন সকাল থেকে দূরপাল্লার বাস সহ ছোট, মাঝারি গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। তবে এদিন ধর্মঘট যাতে না হয় তার জন্য ময়দানে নামে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। তিনি বলেন, ধর্মঘট সফল হয়নি। এদিন সকাল থেকেই তা প্রমাণিত হয়েছে।
মানুষ ধর্মঘট সমর্থন করেনি। বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ বহু আগে থেকেই বনধ্ -এর সংস্কৃতির প্রত্যাখ্যান করেছে। বিরোধীদের দেউলিয়া রাজনীতি মানুষ এখন আর পছন্দ করে না। এ ধরনের বনধ্-এর কারণে মানুষের ব্যবসায় ক্ষতি হয়। তাই আজকে বিরোধীদের মানুষ বার্তা দিতে বেশি করে বের হয়ে রাস্তায় বের হয়েছে। এদিন ধর্মঘটের বিরুদ্ধে পিকেটিং করেন শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। এদিন সকলে শকুন্তলা রোড, হকার্স কর্ণার সহ বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করেন মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলর এবং কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে।
এদিকে ধর্মঘটের বিরোধীতা করে মাঠে নেমে পিকেটিং করল বিজেপি। এদিন রাম নগর এলাকায় বিজেপির কর্মীরা বাইক মিছিল করে ধর্মঘটের বিরোধীতা করে। মিছিলে অংশ নেয় কাউন্সিলার অভিষেক দত্ত। তিনি বলেন ধর্মঘট কোন সংগঠন করে যখন সরকার কথা বলতে রাজি হয় না। কিন্তু বর্তমান সরকার সকলের সঙ্গে উন্মুক্ত ভাবে কথা বলে। সমস্ত কিছু দিচ্ছে সরকার। সেই জায়গায় ধর্মঘট করার মানেই নেই। বিশেষ করে চৈত্র মাসে এই ধর্মঘট ডেকে মানুষের সর্বনাশ করতে পারে একমাত্র সিপিএম। তাই মানুষ তাদের ধর্মঘটকে প্রত্যাখ্যান করে জনজীবন স্বাভাবিক রেখেছে বলে জানান তিনি।