স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ আগস্ট : সুশাসনে মাফিয়া রাজ মাথা চারা দিয়ে উঠেছে রাজধানীর বর্ডার গোলচক্কর এলাকায়। এলাকায় মাফিয়া সুশাসনের জনপ্রতিনিধিকে ম্যানেজ করে দুঃশাসন শুরু করেছে। আর শাসক দল বলে সামনে বুক চিতিয়ে যেতেই তাদের সবকিছুই মাফ হয়ে যাচ্ছে। গত ৬ আগস্ট বর্ডার গোলচক্কর এলাকায় জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক যুবকের উপর আক্রমণ সংঘটিত করেছিল এলাকার দুই কুখ্যাত মাফিয়া ঝুটন দাস এবং রমজান মিয়া সহ তাদের সঙ্গপাঙ্গরা।
এবং তারা পিস্তল উচিয়ে জাহাঙ্গীরকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময় এলাকা বাসী পথ অবরোধ করার পর পুলিশ আশ্বস্ত করেছিলেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে রবিবার এলাকায় গিয়ে পুলিশ ঝুটন মিয়ার বাড়িতে যায়। কিন্তু তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। বাড়ির মহিলাদের কাছ থেকে জানতে পারে বিয়েতে গেছে ঝুটন মিয়া। তারপর পুলিশের যাদের উপর সন্দেহ এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ তাদের বাড়িতে যায়। কিন্তু কাউকেই বাড়িতে পায়নি পুলিশ। পরবর্তী সময় পশ্চিম আগরতলা থানা পুলিশ বাড়ির মহিলাদের জানিয়ে আসে যাতে পরের দিন অর্থাৎ সোমবার সকালে তারা সকলে থানায় গিয়ে যোগাযোগ করে। তাদের মধ্যে ঝুটন মিয়া এবং সুমন মিয়া নামে দুজন সোমবার সকালে থানায় আসার পর তাদের পশ্চিম আগরতলা থানা থেকে এনসিসি থানায় পাঠানো হয়। তারপর পুলিশ তাদের আটক করে।
এ বিষয়ে জানতে পেরে ধৃত দুজনের পরিবারের লোকজনেরা দুপুর বেলা পশ্চিম আগরতলা থানায় ঘেরাও করে। তাদের দাবি সুমন মিয়া এবং টিঙ্কু মিয়া নির্দোষ। তাদের মুক্তি দিতে হবে। কারণ পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে থানায় এনে আটক করেছে। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু গত সাত আগস্ট যারা এলাকায় পথ অবরোধ করেছিল তাদের অভিযোগ ছিল, দীর্ঘদিন ধরে ঝুটন দাস এবং রমজান মিয়া এলাকায় গুন্ডামির ঘটনা সংঘটিত করে চলেছে। রাত হলেই তারা বুক ফুলিয়ে এলাকায় পিস্তল নিয়ে ঘোরাফেরা করে।
পুলিশ, স্থানীয় ক্লাব সহ বিভিন্ন জায়গায় তারা অভিযোগ জানিয়ে কোন সুবিচার পাচ্ছে না। গত ৩১ ডিসেম্বর রাতের বেলাও এলাকায় এক ব্যক্তির কান কেটে দেয়, এবং বেধড়ক মারধর করে। থানায় মামলা হলেও সবটাই উপরওয়ালা সামলে নিচ্ছে। তারপর এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। এলাকাবাসী দাবি করেছিল তারা যাতে এলাকা থেকে বহিষ্কার হয়। কিন্তু কুখ্যাত দুই মাফিয়া কথা দিয়েছিল যদি ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের ঘটনা এলাকায় সংঘটিত করে তাহলে যাতে তাদের এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় দেখাই আছে তাদের স্বভাব পরিবর্তন হয়নি। এলাকায় ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। রাতের বেলা পিস্তল নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার সাথে সাথে মানুষকে ফোন করেও জ্বালা যন্ত্রণা করে। বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়। মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।