স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ আগস্ট : জিরানিয়ার মান্দাই খরাং কমিউনিটি হলে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তেলেঙ্গানার নবনিযুক্ত রাজ্যপাল যীষ্ণু দেববর্মাকে শনিবার নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল যীষ্ণু দেববর্মা, মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াদিয়া সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
অনুষ্ঠানে তেলেঙ্গানার নবনিযুক্ত রাজ্যপাল যীষ্ণু দেববর্মার হাতে মুখ্যমন্ত্রী মান পত্র তুলে দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন। পরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন, যীষ্ণু দেববর্মা ত্রিপুরা রাজ্যের ভুমিপুত্র এবং রাজ পরিবারের কৃতি সন্তান। রাজ্যের প্রথম ব্যক্তি হিসাবে তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল হয়েছেন যীষ্ণু দেববর্মা। এইটা রাজ্যবাসীর কাছে গৌরবের বিষয়। জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নে যীষ্ণু দেববর্মার চিন্তা ভাবনা ও কর্ম কুশলতা নতুন দিশার সঞ্চার করেছে। জনজাতিদের উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে যীষ্ণু দেববর্মার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ এখনো নতুন দিশা দেখাচ্ছে। প্রচারের আরালে থেকে তিনি নিরবে কাজ করে চলেছেন।
রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী থাকাকালিন সময় তিনি একাধিক দপ্তরের দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও যীষ্ণু দেববর্মার অবদান অনস্বীকার্য। ভারতীয় ব্যাট মিন্টন এসোসিয়েশানের শীর্ষ পদে আসিন ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন তেলেঙ্গানা রাজ্যের চতুর্থ রাজ্যপাল হিসাবে সেই রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করবেন শ্রী দেববর্মা। অপরদিকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যীষ্ণু দেববর্মা ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ত্রিপুরা রাজ্যকে সম্মান জানিয়ে রাজ্য থেকে প্রথম বারের মতো তাঁকে তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজ্যপাল করার জন্য। তিনি আরও জানান তেলেঙ্গানা ও ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে অভিজ্ঞতার আদান প্রদান করবেন তিনি। ত্রিপুরা রাজ্য ছোট হলেও অভিজ্ঞতা কম নয়। ত্রিপুরা রাজ্যের পরিচয়ের রাস্তা খুলে গেছে।
তেলেঙ্গানা রাজ্যেও ষষ্ঠ তপশীল ভুক্ত রাজ্য রয়েছে। সেখানকার ভালো কাজগুলি নিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন আদান প্রদানের মধ্য দিয়ে উন্নতি হয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সেতু হচ্ছে রাজ্যপাল। আরো বলেন, উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। সময়ের সাথে সাথে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হয় বলে জানান যীষ্ণু দেববর্মা। ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ত্রিপুরা রাজ্যের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য সমাজের শেষ ব্যক্তির কাছে সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। যাদের প্রয়োজন তাদেরকে আগে সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে। জনজাতিদের উন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান রাজ্য সরকার। বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নিয়ে এসে জনজাতিদের উন্নয়নে সেই টাকা খরচ করছে সরকার। উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শান্তি বজায় রাখা। পাশাপাশি সরকারের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।