Thursday, March 20, 2025
বাড়িরাজ্যজটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছাত্রী, বিধায়ক চিকিৎসার হাত বাড়িয়ে দেয়নি

জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছাত্রী, বিধায়ক চিকিৎসার হাত বাড়িয়ে দেয়নি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ জুলাই : জটিল রোগে আক্রান্ত নবম শ্রেণীর ছাত্রী মন্দিরা দেবনাথ। আর্থিক সংকটের কারণে পিতা উন্নত চিকিৎসা করাতে না পেরে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কেঁদে দিলেন। তিনি বলেন এখন পর্যন্ত বিধায়কের বাড়িতে চারবার গেছেন। এমনকি শুধুমাত্র পায়ে ধরাটাই বাকি রয়েছে। কিন্তু বিধায়ক তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতাতো দূরের কথা সহানুভূতি পর্যন্ত দেখান নি। বর্তমানে কাঠালিয়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বারান্দায় অন্যান্য রোগীদের সাথে মেঝেতে শয্যাশায়ী অবস্থায় পড়ে আছে।

মন্দিরার বাড়ি বিলোনিয়া মহকুমার অন্তর্গত রাজনগর ব্লক এলাকার দক্ষিণ রাঙ্গামুড়া গ্রামে। মন্দিরা গ্রামেই দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। গত এক বছর ধরে মন্দিরা প্রচন্ড মাথা ব্যথা। পিতা সুভাষ দেবনাথ তার সাধ্যের মধ্যে থেকে যতটুক পেরেছে ততটুকই মেয়ের চিকিৎসা করার চেষ্টা করেছেন। জিবি হাসপাতাল এবং হাঁপানিয়াতেও মেয়েকে চিকিৎসা করায়, কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠছে না মেয়ে। চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়ে দিয়েছেন মন্দিরা ব্রেন টিউমার হয়েছে। দিন দিন তার মাথা ব্যাথা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পিতা সুভাষ দেবনাথের পকেটে এত টাকা নেই যে তিনি মেয়েকে বহিঃরাজ্যে নিয়ে চিকিৎসা করাবেন।

তবে ওনার আক্ষেপ যদি এলাকার বিধায়ক যদি কিছুটা চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতেন তাহলে হয়তো তার মেয়ে ভালো হয়ে যেত। এখন পর্যন্ত চার বার বিধায়কের কাছে গেছেন। কিন্তু বিধায়ক কোন সহযোগিতাই করেননি। আত্মীয় পরিজন যারা রয়েছেন তাদের তার থেকে কিছুটা আর্থিক সহযোগিতা পেলেও সে টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। অসহায় পিতা সুভাষ দেবনাথ এর ফোন নম্বর ৯৮৬২৫০৮০১১। কেউ যদি সহযোগিতা করতে পারে তাহলে হয়তো তার মেয়ের অপারেশন করার জন্য টাকার বন্দোবস্ত হবে। পুনরায় মন্দিরা স্কুলে যেতে পারবে, তাদের ঘর আলো করে রাখতে পারবে মন্দিরা। কিন্তু দিনমজুর বাবার পাশে কি দাঁড়াবে এই সরকার? খবরটি পরিবেশন করার জন্য পেছনে মূলত কারণ হলো সরকার যাতে অসহায় পিতার কন্যা মন্দিরার চিকিৎসার ভার গ্রহন করে। তবে এলাকার বিধায়কের ভূমিকা তীব্র নিন্দা শুরু হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। যদি সাধারণ জনগণের পাশে নাই দাঁড়াতে পারে তাহলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে আমজনতা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য