Monday, September 16, 2024
বাড়িরাজ্যঅফিস পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রীর চোখ চড়ক গাছ, অধিকর্তাকে কড়া নির্দেশ দিলেন মন্ত্রী

অফিস পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রীর চোখ চড়ক গাছ, অধিকর্তাকে কড়া নির্দেশ দিলেন মন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জুলাই :জনগণের অর্থে রাজকীয় সুখে আছে রাজ্যের বৃহৎ অংশের সরকারি কর্মচারী। বাম আমল থেকেও রাম আমলে এসব সরকারি কর্মচারীদের তাল বাহানা বিভিন্ন অফিসে আরো বেড়ে গেছে বলা চলে। স্বল্প বৃষ্টি দেখলেও দপ্তরের অধিকর্তা কিংবা অন্যান্য আধিকারিকদের ম্যানেজ করে অফিসে পা রাখেন না তারা। কিন্তু মাসে মাসে মোটা বেতন গুনছে, আবার সপ্তম বেতন কমিশনের জন্য সময়ের সময়ে রাস্তায়ও নামছে।

 কিন্তু এসব সরকারি কর্মচারীদের জন্য চরম সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রতিদিন অফিসের দরজায় গিয়ে ঘুরে আসতে হয় মানুষকে। এক ঘন্টার কাজের জন্য এক সপ্তাহ কাটিয়ে দেয় তারা। কিন্তু ব্রুক্ষেপ নেই সেসব কর্মচারীদের। মাঝেমধ্যে রাজ্যের মন্ত্রীরাও কাজ দেখাতে ময়দানে নামেন। তখন তাঁরা সচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন তাদের দপ্তরের হাল হতিকাৎ। তখন তাদেরও চোখ চড়ক গাছ হয়ে যায়। এ ধরনের দৃশ্য সামনে উঠে আসে সোমবার। সরকারি নিয়মে সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন। কিন্তু প্রথম দিনেই অফিসে গণহারে ছুটি কাটাচ্ছেন বড় অংশের সরকারি কর্মচারীরা। সেটা প্রত্যক্ষ করলেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। তিনি এদিন সকালবেলা ইন্দ্রনগর এবং গোর্খাবস্তি স্থিত ডাইরেক্টর অফ ট্রাভেল ওয়েলফেয়ার অফিসে গিয়ে দেখেন ১৯ জন কর্মচারীর চেয়ার ফাঁকা। অন্যান্য কর্মীদের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানতে পারেন তারা এদিন অফিসে আসেননি। এগুলি সেসব কর্মচারীদের প্রতিনিয়তই চলে।

 সোমবার এ বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে মন্ত্রী অধিকর্তাকে নির্দেশ দেন অ্যাটেনডেন্স খাতা নিয়ে আসার জন্য। অধিকর্তা অ্যাটেনডেন্স খাতা নিয়ে এসে দেখেন ১৯ জন কর্মচারী এদিন অফিসে আসেনি। তারা কি কারণে এদিন অফিসে আসেনি তার কোন সঠিক উত্তর ছিল না অধিকর্তার কাছে। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী নির্দেশ দিলেন, যারা অফিসে আসেন নি তাদের কাছ থেকে কারণ তলব করার জন্য। যদি নির্দিষ্ট ভাবে তথ্য সহ সঠিক কারণ দেখাতে না পারে তাহলে তাদের শোকজ করা এবং বেতন কাটার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রী বক্তব্য সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। নাহলে এর জন্য সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। তবে বিভিন্ন অফিসে এ ধরনের সমস্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে। সঠিকভাবে অফিসে আসেন না একাংশ কর্মীরা। আর অফিসে আসলেও মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বসে থাকে কখন বাড়ি ফিরবে। এতে কর্মসংস্কৃতি লাটে উঠেছে বলা চলে। যাই হোক মন্ত্রী বিকাশের দপ্তরে বিকাশ হচ্ছে না এ ধরনের কিছু কর্মচারীদের জন্য।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য