স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ জুলাই : খয়েরপুরস্থিত পুরাতন হাভেলিতে অনুষ্ঠিত রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী ৭ দিনব্যাপী খার্চী পুজা ও মেলার সমাপ্তি ঘটে শবিবার। গত ১৪ জুলাই হাওড়া নদীতে ১৪ জন দেবতাদের অবগাহনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিলো খার্চী পুজার। শনিবার ছিলো তাত শেষ দিন। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রতন লাল নাথ, মেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, পুরাতন আগরতলা ব্লকের বিডিও, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এবারের খার্চী উৎসবের থিম ছিলো সবুজই ত্রিপুরা।
মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে ১৫ হাজার চারা গাছ বিতরন করা হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, খার্চী উৎসব, কৃষ্টি সংস্কৃতি ও সম্প্রিতির ধারক ও বাহক। জাতি জনজাতির মেল বন্ধনের এক অন্যন্য পিঠস্থান খার্চী মেলা। এই উৎসব গোটা বিশ্বে সমাদৃত। এর প্রচার প্রসার ঘটাতে রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। নব প্রজন্মের কাছে খার্চী মেলার ইতিহাস তার ব্যখ্যা তুলে ধরতে হবে। রাজ্যে বিজেপি আইপিএফটি সরকার প্রতিষ্টার পর মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। খার্চী মেলায় আগত সাধু সন্তদের থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে মেলা কমিটির তরফে, আগে তারা খোলা আকাশের নিচে ভিক্ষুকের মত রাত কাটাতেন। ফলে খার্চী উৎসব বর্তমানে রাজ্যের জাতীয় উৎসবের মর্যাদা পেয়েছে বলেও মত ব্যাক্ত করেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এবারের খার্চী পুজা ও মেলায় রেকর্ড সংখ্যক লোক সমাগম ঘটেছে বলে মেলা কনিটির অভিমত। মেলায় নয় শতাধিক স্টল নিয়ে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলেছেন।
ব্যবসায়ীদের বেচা কেনা ভালোই হয়েছে বলে খবর। এবারের মেলার ৭ দিন আবহাওয়া অনুকুল থাকায় খুশি ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন সকাল থেকেই ভীর পরিলক্ষিত হয়েছে। ভক্তবৃন্দরা পরিবার পরিজনদের মংগল কামনায় পুজো দিয়েছেন চতুর্দশ দেবতার চরনে। প্রতিদিন হয়েছে বলিও। শনিবার সব চাইতে বেশী ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে। সন্ধ্যায় দু এক ছটে ফোটা বৃষ্টি হলেও মানুষের ভীড় কমেনি। মেলায় প্রতিদন দেশ বিদেশের শিল্পীদের দ্বারা অনুষ্ঠিত হয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত মেলার সময় নির্ধারিত থাকলেও যত রাত বাড়তে থাকে ততই বাড়তে থাকে মানুষের ভীড়। এবছর খার্চী পুজার শেষদিনে সরকারি ছুটি ঘোশনা করেছিলো রাজ্য সরকার।