Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যমনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বিরোধীদের উপর সন্ত্রাস, অশান্ত রাজ্যে

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বিরোধীদের উপর সন্ত্রাস, অশান্ত রাজ্যে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ জুলাই :  গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বড়সড়ো আক্রমণের মুখে পড়লেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন অন্যান্য কংগ্রেস কর্মী সমর্থক। টেপানিয়া ব্লকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় কংগ্রেসের মিছিলের উপর সন্ত্রাস নামিয়ে আনে শাসক দল বিজেপি। সাথে সাথে পুলিশ দিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের পায়ে আঘাত লাগে।

 বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে উদ্ধার করে পুলিশের গাড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুদীপ রায় বর্মন রণমূর্তির রূপ নেয়। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ত্রিপুরা পুলিশ এতটা নতজানু হয়ে যাবে এবং তাদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে সেটা দুঃস্বপ্নেও ভাবা যায় না। কারণ পুলিশের সামনে বিরোধী দলের কর্মীদের মাথা ফাটছে, লাঠি ভাঙছে, বিধায়ক ও প্রার্থী আক্রান্ত হচ্ছে, কিন্তু পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করছে না। তাই আগামী দিন জনতা বিচার বিবেচনা করবে কাকে এনে রাজ্যে বসিয়েছে। এর জন্য নিজেকেও দায়ী করলেন সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন, এর জন্য তিনি নিজেও দায়ী। সুতরাং পাপ করেছেন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে বলে জানান তিনি। কেন বিজেপ কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিজেপি কখনো রাজ্যের মানুষের স্বার্থে কাজ করেনি এবং করবেও না।

 তারা ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দেবে। তিনি আরো বলেন দীর্ঘ বছর ধরে তিনি বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাই বলতে দ্বিধা নেই বামফ্রন্ট বনাম বিজেপির মধ্যে যদি তুলনা করা হয় তাহলে বিজেপি থেকে অনেক গুনে ভালো বামফ্রন্ট। তিনি আরো বলেন, বিজেপি যদি ভাবে এভাবে আক্রমণ করলে কংগ্রেস এবং বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন পিছুপা হয়ে যাবে তাহলে সেটা ভুল ভাবছে। লড়াই সমানভাবে চলবে। এবং যারা এই ঘটনা ঘটছে তাদের চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে। সর্বশেষ সুদীপ রায় বর্মন বলেন, মার খাবো, রক্ত ঝরবে, মৃত্যুবরণ করবো, কিন্তু বিজেপির পতন নিশ্চিত করে ছাড়বো। এদিকে রাজধানীর ডুকলি ব্লক এলাকায়ও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। মনোনয়নপত্র দাখিল করার জন্য মিছিল করতে আসার সময় সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের উপর ইট বর্ষন করে শাসক দল বিজেপি -র দুর্বৃত্তরা। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপরদিকে ফটিকরায়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুধাংসু দাসের ভাই হীমাংশু দাসের নেতৃত্বে গুন্ডাবাহীনি ফটিকরায় ব্রীজের উপর ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীদের বাধা দেয় এবং মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা সৃষ্ঠি করেছে বলে অভিযোগ। গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের। এই ঘটনার প্রশাসনের কঠোর হস্থক্ষেপ চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপিআইএম কুমারঘাট মহকুমা কমিটি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য