স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ জুলাই : ৮ আগস্ট ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। ১২ আগস্ট ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার। এইদিন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ১৭ টি আসনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেয় বিজেপি মনোনীত প্রার্থীরা। এইদিন বিজেপি প্রার্থীদের সাথে নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা আগরতলা শহরে সুবিশাল মিছিল সংগঠিত করে। মিছিলের অগ্র ভাগে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।
মিছিলটি আগরতলা শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখান থেকে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় নেতৃত্বদের সাথে নিয়ে পশ্চিম জেলার জেলা শাসক তথা রিটার্নিং অফিসার ডঃ বিশাল কুমারের কক্ষে গিয়ে ডঃ বিশাল কুমারের হাতে মনোনয়ন পত্র তুলে দেন। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজেপির হয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা ৪ পূর্ব গান্ধীগ্রাম ও পশ্চিম গান্ধীগ্রাম দেবেন্দ্র নগরের প্রার্থী বলাই গোস্বামী। তিনি এইদিন মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান তিনি জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি কাজ করবেন বলে জানান। গ্রামীণ এলাকার মানুষের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান বিরোধীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারছে না বলে ইচ্ছাকৃত ভাবে নাটক মঞ্চস্থ তৈরি করছে। এদিকে পশ্চিম ত্রিপুরার সাত নং মোহনপুর ব্লক অধীন প্রার্থী জয়নাল জানান, উন্নয়নের জন্য মানুষের পাশে রয়েছে বিজেপি -র কার্যকর্তারা। আসন্ন নির্বাচনে অবশ্যই মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের উপর ভরসা রাখবে। পাশাপাশি এই নির্বাচনে বিরোধীদের জামানাত জব্দ হবে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ সহ মৌলিক চাহিদাগুলি নিয়ে কাজ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থীরা। কারণ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার এই মৌলিক চাহিদাগুলি মানুষের পূরণ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই মানুষ বিজেপি -র পাশে রয়েছে। তিনি বিরোধীদের কাঠগোড়ায় তুলে বলেন, বিরোধীরা যদি প্রার্থী খুঁজে না পায় তাহলে এর দায়িত্ব শাসক দল নিতে পারে না। বিশেষ করে বিরোধীদের পাশে মানুষ না থাকলে শাসক দলের কিছু করার নেই। তিনি আরো বলেন, মানুষ ২৫ বছর ভোগ করেছে, মানুষ খেতে পায়নি, সন্তান বিক্রি করেছে এবং মানুষের জন্য আসা অর্থ মেলার মাঠের পার্টির ফান্ডে চলে গেছে। এগুলি মানুষ ভুলে যায়নি। তাই মানুষ তাদের পাশে থাকছে না। ভারতের জনতা পার্টি যেহেতু মানুষের ১০০ শতাংশ প্রত্যাশা পূরণ করছে তাই মানুষ সাথে রয়েছে। তাই বিরোধীরা যাই বলুক না কেন সবটাই পাগলের চৈত পূরণ! সুতরাং পঞ্চায়েত সমিতির ও জেলা পরিষদ বিজেপি ১০০ শতাংশ গঠন করবে। এদিকে জেলা শাসক তথা রিটানিং অফিসার ডঃ বিশাল কুমার বলেন, বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিন দুপুর পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে উনার কাছে জেলা পরিষদের বিজেপি -র সাতটি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে, সিপিআইএম এর পক্ষ থেকে ১৭ টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ১৩ টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। তবে এদিন বিকাল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে রিটার্নিং অফিসার ডঃ বিশাল কুমারের কাছে। মনোনয়নপত্র জমা ঘিরে শাসকবিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তেমন উৎসাহ উদ্দীপনা আগরতলা শহরের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়নি বলেই চলে। পাশাপাশি কোন নেতৃত্ব সামনে এসে মুখ খুলতে চায় নি। সুতরাং ৮ ই আগস্ট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে শাসক বিরোধী সবকটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর মধ্যে। তবে জনতা জনার্দন। ভোট বাক্সে শেষ কথা বলবে জনতা।