স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ জুলাই : জিবি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস পরিষেবা নিতে এসে অসুস্থ বহু রোগী। অভিযোগ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে এসে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে রোগীরা। রবিবার সকালে ডায়ালিসিস করতে আসার পর রোগীদের জানিয়ে দেওয়া হয় জলের পাম্প বিকল হয়ে আছে। অবশেষে রোগীরা বাধ্য হয়ে সকাল ৭ টা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকে। সাড়ে বারোটা নাগাদ চালু করা হয় জলের পাম্প মেশিন।
কিন্তু দীর্ঘ সময় এভাবে হাসপাতালে অসহ্য গরমে বসে থেকে বেশ কয়েকজন রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক রোগীর অভিযোগ আগে ডায়ালিসিসের জন্য চার ঘন্টা সময় দেওয়া হতো, কিন্তু সেই সময় পরিবর্তন করে এখন আড়াই ঘণ্টা দেওয়া হয় ডায়ালিসিস পরিষেবা। এতে সঠিকভাবে ডায়ালাইসিস হচ্ছে না রোগীদের। যার ফলে রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ। রোগীদের আরো অভিযোগ কি কারনে সময় কমিয়ে দেওয়া হলো সে বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। কিন্তু এভাবে ডায়ালাইসিস হচ্ছে না। যার কারণে ডায়ালাইসিস হাসপাতাল থেকে করে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রোগীর। বিশেষ করে হাত পায়ে এবং পেটে জল নেমে আসছে। এতে তারা শারীরিক বিভিন্ন উপদ্রবে ভুগছে। বিশেষ করে তারা শ্বাসকষ্ট এবং চলাফেরা করতে পারে না।
তবে আরও অভিযোগ সকাল আটটা থেকে ডায়ালিসিস শুরু হওয়ার কথা থাকলে দেখা যায় বিভিন্ন সমস্যার কারণে দীর্ঘ তিন থেকে চার ঘন্টা সময় তাদের বসে থাকতে হয় হাসপাতালে। ফলে তারা শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে অপেক্ষা করে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অপরদিকে এক রোগীর পরিবার জানান, সপ্তাহে দুবার ডায়ালিসিস করাতে এসে জল নিয়ে এ ধরনের সমস্যা প্রায় তাদের সাথে হচ্ছে। এবং দেখা যায় এ ধরনের সমস্যার কারণে তাদের ডায়ালাইসিস করার সময়সীমাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে স্বাভাবিকভাবে চার ঘন্টা সময় লাগে শরীর থেকে দূষিত জল বের করতে, সেখানে মাত্র দুই ঘন্টায় স্বল্প দূষিত জল শরীর থেকে বের করে রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই রোগীর পরিবার বলেন, মানুষ বিলোনিয়া, সাব্রুম সহ বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক টাকা দিয়ে গাড়ি রিজার্ভ করে ডায়ালিসিস করতে আসে। তাদের যাতে সঠিকভাবে পরিষেবা দেওয়া হয়। নাহলে মানুষের মৃত্যু হবে। সে বিষয়টা যাতে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে জিবি হাসপাতালে সুপার স্পেশালিটি এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো উন্নত পরিষেবা চালু হলেও সাধারণ ডায়ালিসিস পরিষেবা নিয়ে কেন মানুষকে। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এসে উন্নত পরিষেবার দাবি করলেও পরিষেবার যে কী হাল হয়ে আছে সেটা ভালো জানে প্রত্যক্ষদর্শী রোগী ও রোগীর পরিবার।