Saturday, January 18, 2025
বাড়িরাজ্যপ্রসাদ খেয়ে মৃত্যু এক, অসুস্থ পঁয়ত্রিশ জন, খাবারে ব্যবহৃত মশলার নমুনা সংগ্রহ...

প্রসাদ খেয়ে মৃত্যু এক, অসুস্থ পঁয়ত্রিশ জন, খাবারে ব্যবহৃত মশলার নমুনা সংগ্রহ করে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ জুলাই : শিব‌ পূজার প্রসাদ খেয়ে মৃত্যু এক ব্যক্তির। অসুস্থ কমপক্ষে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ জন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার তদন্তে মাঠে ফুড সেফটি দপ্তরের আধিকারিকরা। উদ্ধার খাবারে ব্যবহৃত বিভিন্ন মশলার প্যাকেট। ঘটনা‌‌ উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমার দেওয়ান পাশা গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নং ওয়ার্ডের অরুণ নাথের বাড়িতে।

জানা‌ গেছে, গত‌ বৃহস্পতিবার দিন অরুণ নাথের বাড়িতে শিব মন্দির প্রতিস্থাপনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই উপলক্ষে পাড়া প্রতিবেশী সহ আত্মীয় স্বজনদের শিব পূজার প্রসাদ গ্রহনের নিমন্ত্রণ করেন। যথারীতি প্রসাদ খেয়ে আত্মীয় স্বজন সহ পাড়া প্রতিবেশী যার যার বাড়ি চলে গেলে এদিন রাত থেকে সকলেই শারিরীক অসুস্থতা বোধ করতে শুরু করেন। সকলের বমি সহ জ্বর ও মাথা ব্যাথার অনুভব করে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি হলে শনিবার রাত আনুমানিক দশটার নাগাদ ধর্মনগর শাখাই বাড়ি হেল্থ কিউর নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শলিন্দ্র দেবনাথ(৫৯) নামের এক‌ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। জানা গেছে মৃত ব্যক্তির বাড়ি দেওয়ান পাশা এলাকায়। তাছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপর একজন চিকিৎসাধীন সহ কমপক্ষে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রবিবার দুপুরে দেওয়ান পাশার অরুণ নাথের বাড়িতে ছুটে যান ধর্মনগর ফুড সেফটি দপ্তরের আধিকারিকরা তথা চিকিৎক পূজা আচার্য ও সুমিত দেব নাথ।

 তাছাড়া মৃত ব্যক্তির বাড়ি সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা অসুস্থদের দেখতে ছুটে যান ফুড সেফটি আধিকারিকরা।ফুড সেফটি আধিকারিকরা জানান, ঘটনা বৃহস্পতিবার এদিন ঘটনাস্থলে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। শুধু মাত্র বিভিন্ন মশলার প্যাকেট সহ পাঁচফোড়নের প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে। সেগুলো পরিক্ষা নিরিক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে কি কারনে খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।এদিকে মৃত ব্যক্তির ছেলে অনিক দেবনাথ সহ অসুস্থ ব্যক্তি সুদর্শন নাথ ও আশুতোষ নাথ জানান, বৃহস্পতিবার শিব পূজার খিচুরী প্রসাদ খাওয়ার পর থেকে তাদের শারিরীক অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। তাতে ধর্মনগর জেলা হাসপাতাল, শাখাই বাড়ি হেল্থ কিউর নার্সিং হোম, বুংনাং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কদমতলা সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সকলেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। দু একজন আবার শিলচর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের ধারনা প্রসাদে বিষক্রিয়ার ধরুন এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। অপরদিকে ধর্মনগর ফুড সেফটি দপ্তরের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ‌ প্রশ্ন তুলে বলেন, সচরাচর খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের মাঠে তেমন কোন অভিযান করতে দেখা যায় না। বিভিন্ন হাট বাজারে নামি বেনামী ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবারের ছড়াছড়ি। আর‌ তা খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হলেও কোন হেলদোল নেই খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য