স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ জুলাই : বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রতাপগড় স্টিল ব্রীজের মধ্যে নিচ থেকে উদ্ধার এক যুবকের মৃতদেহ। তার নাম মিঠুন সরকার। বয়স ২৮ বছর। বাড়ি খোয়াই রামচন্দ্র ঘাট এলাকায়। মৃত যুবকের পিতা জানান, মিঠুন সব সময় বাড়িতে থাকতেন না। মাঝেমধ্যে বাড়িতে যেত। এবং সে কোথায় থাকতো সে বিষয়েও কাউকে কিছু বলত না।
মাঝেমধ্যে বাড়ির লোকজনদের কাছ থেকে টাকা আনত। গত চার থেকে পাঁচ দিন আগে তার মার কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সে। তারপর আর বাড়ি যায়নি। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখে ছেলের ঝুলন্ত দেহ। স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। মৃত যুবকের পিতা আরও জানান, কি কারনে ছেলে আত্মহত্যা করেছে সেটা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে গত এক বছর আগে মিঠুনের স্ত্রী চলে গেছে। তারপর থেকে সে উদাসীন ছিল। এছাড়া সংসারে আর কোন বিষয় নিয়ে ঝামেলা ছিল না। ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে পিতা। তবে এদিন সাত সকালে মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
তবে পশ্চিম আগরতলা থানাধীন বটতলা পুলিশ ফাঁড়ি অন্তর্গত স্টীল ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে নেশা কারবারিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো রাস্তায় ঘোরাঘুরি করা কিছু যুবককে নিয়ে বটতলা জহর ব্রীজ থেকে শুরু করে স্টীল ব্রীজ এবং দশমী ঘাট সহ রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে একটি বড় গ্রুপ রয়েছে। যারা দিনে ২৪ ঘন্টা ড্রাগস সেবন করে এলাকার পরিস্থিতি বিষিয়ে তুলছে। পুলিশ প্রশাসনের কোনোরকম টহলদারি না থাকায় চলে ড্রাগস মাফিদের আনাগোনাও। স্থানীয়রা এ যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে পড়ছে। বহিরাগত যুবকরা এখানে এসে অবাধে নেশা সামগ্রী বিক্রি করে। আর সবটাই অবগত রয়েছে পুলিশ বাবুরা। কিন্তু পুলিশ কোন এক অজ্ঞাত কারণে এলাকায় নিয়মিত টহলদারি এবং কোন নেশা কারবারিকে জালে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে না। এতে করে এলাকার পরিস্থিতি দিন দিন মানুষকে চিন্তায় ফেলছে। মিঠুনের মৃত্যুর পেছনে আসলে কি রহস্য রয়েছে সেটা সুষ্ঠু তদন্ত হবেই বের হয়ে আসতে পারে বলে মনে হচ্ছে এলাকাবাসী। তবে খুন নাকি আত্মহত্যা সেটা বিনা তদন্তে বলা মুশকিল।