Sunday, December 22, 2024
বাড়িরাজ্যউন্নয়নমূলক কাজ রূপায়ণে সরকারের টাকার কোন অভাব নেই: মুখ্যমন্ত্রী

উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়ণে সরকারের টাকার কোন অভাব নেই: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৩০ জুন: সরকারের মুখ হচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ারগণ। আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়ারগণ বিদেশে গিয়ে সুন্দর সুন্দর বিল্ডিং, ইমারত তৈরি করছেন। আরো অনেক সৃষ্টিশীল কাজ করছেন। আর সেটা দেশ বা রাজ্যে কেন হবে না? আমাদের কাছে মেধার কোন অভাব নেই। রাস্তাঘাট, পানীয়জল, বিদ্যুৎ মানুষের জন্য খুবই অপরিহার্য। মূলত, এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানুষ চায় এবং এসবের রূপায়নের দায়িত্ব অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ারদের। উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়নে সরকারের টাকার কোন অভাব হবে না।

                           রবিবার আগরতলার ভগৎ সিং যুব আবাসে ত্রিপুরা স্টেট ইঞ্জিনিয়ারস্ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির ও কৃতি শিক্ষার্থী সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

                            পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রক্তদানের মতো সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য ইঞ্জিনিয়ার সংগঠনের উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের। অনেক সময় দেখা যায় শুধু রাস্তাঘাট খারাপ হওয়ার জন্য রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে। গতবার তো এক জায়গায় ভোট পর্যন্ত বয়কট করা হয়েছে। মানুষ চায় রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানীয়জল। বেশি কিছু কিন্তু মানুষ চায় না। তাই এসবের নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব অনেকাংশে ইঞ্জিনিয়ারদের উপর বর্তায়। এসব পাওয়ার জন্য কেন মানুষ রাস্তায় বসে আন্দোলন করবে? এসব আমরা আগে দেখে এসেছি। বর্তমান সরকার চায় সকল অংশের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন। রাজ্যের উন্নয়নে সরকারের তরফে যা যা করার দরকার সেটা করা হবে।

                        মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, মানুষের কাছে পরিশ্রুত পানীয়জল পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এসব কাজকর্ম যাতে ভালোভাবে রূপায়িত করা যায় সেজন্য দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের। তাদের কর্মদক্ষতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সময়ের মধ্যে যাতে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ রূপায়ণ করা যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিএম, এসডিএম ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যাতে আলোচনা করা যায় সেই উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এদিন স্বেচ্ছা রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষার জন্য স্বেচ্ছা রক্তদানে সকল অংশের মানুষকে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান রাখেন চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী।

                             অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্যের মানুষকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সরকার অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছে। এজন্য বিভিন্ন কাজকর্ম রূপায়ণ করা হচ্ছে। প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ডেন্টাল কলেজ শুরু করা হয়েছে। রাজ্যে এইমসের ধাঁচে একটি উন্নত মানের হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য এবার দিল্লি গিয়ে দাবি জানিয়ে এসেছি। সম্প্রতি রাজ্যের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পুরস্কৃত হয়েছে। এখন আর রোগীদের কথায় কথায় বাইরে রেফার করতে হয় না। মোট কথায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

                     অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক ইঞ্জিনিয়ার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এই কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে স্বেচ্ছা রক্তদাতা এবং কৃতি ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য